ওয়েব ডেস্ক: ইতিহাস কি পাল্টে যেতে চলেছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে চির শত্রু দেশ কি এবার জুটি বাঁধবে? আমেরিকার (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ক্ষমতায় বসেই যেভাবে একের পর এক রাশিয়া-মুখী (Russia) মনোভাব প্রকাশ করছেন তাতে এই ইঙ্গিত পেতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহল। রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine War) যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের মুখে। এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার রাস্তা খুঁজতে ট্রাম্প নির্দেশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে এবার রাশিয়া-মুখী ট্রাম্প?
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পথ খোঁজার নির্দেশ হোয়াইট হাউসের। মার্কিন স্বরাষ্ট্র, অর্থ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তোলার বিনিময়ে আমেরিকা কী পেতে পারে রাশিয়া থেকে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ। রাশিয়ার পেট্রোলিয়াম রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে দুনিয়াজুড়ে এই পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে এখনই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমন কোনও সম্ভাবনার কথা জানা যায়নি। সে ক্ষেত্রে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো ব্যবস্থা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতের সমালোচনায় রাষ্ট্রপুঞ্জের হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক, মুখের উপর জবাব ভারতের
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা যুদ্ধের আবহে বিশ্ব শক্তির প্রধান দুই ভর কেন্দ্র ছিল আমেরিকা ও রাশিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনেরও পরও এর অন্যথা হয়নি। প্রথম দফায় ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সৌজন্যের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে আমেরিকার বিদেশ নীতি বদল হয়নি। ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান করলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপায় রাশিয়ার উপর। এবার সরাসরি রাশিয়া নীতিতে বড় পরিবর্তন দেখাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিশ্ববাসী নয়া সমীকরণ দেখতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এটাও চাউর হয়েছে রাশিয়া সফরে যেতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দেখুন অন্য খবর: