ওয়েব ডেস্ক: ভোটার তালিকা (Voter List) সংশোধন নিয়ে সর্বদল বৈঠক (All Party Meeting) ডেকে বিতর্কের মুখে পড়লেন নদীয়া জেলার শান্তিপুরের বিডিও (BDO) সন্দীপ ঘোষ। তিনি এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে তুষ্ট করতেই তাঁর ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করছেন ওই বিডিও। তবে শান্তিপুরের ওই বিডিও বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন সারা বছর ধরে ভোটার তালিকা সংশোধন করে। এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। বছরে ৪ বার নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরি করে প্রকাশ করে। প্রত্যেক বুথে রাজনৈতিক দল থেকে বুথ লেভেল এজেন্ট থাকেন। বিএলও-র সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেই তাঁরা কাজ করেন। স্বাভাবিক নিয়মেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে বলেন, বাংলার ভোটারের যেখানে নাম আছে, সেখানে ভিন রাজ্য়ের ভোটারদের নাম ঢোকানো হয়েছে। ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কলকাতা থেকে জেলা, ভোটার লিস্ট স্ক্রটিনির কাজে নামে তৃণমূল। এরই মধ্য়ে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে আগামী বুধবার সর্বদল বৈঠক ডেকে বিতর্কে জড়ান নদিয়ার শান্তিপুরের বিডিও।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ বুথ সভাপতি
এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,শান্তিপুরের বিডিও ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে বৈঠকে ডেকেছেন। বুথ স্তরের এজেন্টদের তালিকা চাওয়া এবং অন্যত্র চলে যাওয়া ভোটারদের শনাক্তকরণের কথাও ওই আলোচনার তালিকাতে রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অথবা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ ছাড়া কীভাবে ওই বৈঠক ডাকা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন,২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ওই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছাড়া আর কোনও সংশোধন সম্ভব নয়। শুধুমাত্র নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এবং তাঁর ’পলিটিক্যাল বস‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুষ্ট করতে বিডিও এই বৈঠক ডেকেছেন। এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা ও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, শান্তিপুরের বিডিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতির মতো আচরণ করছেন। শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, সমস্ত দলকে মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে। এমন নয় শুধু তৃণমূলকে ডাকা হয়েছে। তাতে বিজেপিকেও ডাকা হয়েছে। বিজেপির প্রতিনিধি বৈঠকে এটা প্রশ্ন করতেই পারেন যে, কেন ডাকলেন? এখন দেখার বিডিওর ডাকা বুধবারের বৈঠকে কি যোগ দেবে বিজেপি? নাকি বয়কটের পথে হাঁটবে তারা?
দেখুন অন্য খবর: