সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নন্দকুমার: ফের ভুয়ো চিকিৎসক (Fake Doctor) ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরে (East Medinipur)। হাত জড়ো করে চিকিৎসা না করার মুচলেখা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন চিকিৎসক। ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, এগরা,হেঁড়িয়া,নরঘাট ও রাধামনিতে ডাক্তার সি দাস (Doctor C Das) নামে ওড়িশার (Orissa) এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নকল করে মেডিসিন,সুগার,থাইরয়েড ও নার্ভ বিশেষজ্ঞের পরিচয় দিয়ে প্র্যাকটিস করতেন।
গত নয়মাস আগে খেজুরি থানার প্রিয়া নগর এলাকার বিহারী লাল সেন নামে এক শিক্ষক ওই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই ওই শিক্ষকের ছেলে ও ছাত্ররা ওই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন চেক করে দেখেন ওই চিকিৎসক সি দাস ওড়িশার চিকিৎসক চন্দন দাসের রেজিস্ট্রেশন নকল করে চিকিৎসা করে ডাক্তারি চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনও সার্টিফিকেট নেই ওই চিকিৎসকের। এর পরেই পদক্ষেপ নেন মৃতের ছেলে ও ছাত্ররা। বিষয়টি স্থানীয় বিডিও ও বিএমওএইচকে জানান তারা।
আরও পড়ুন: আর্মি সেন্টারের নাম করে প্রতারণা! গ্রেফতার ভুয়ো সেনা আধিকারিক
ছাত্ররা ওই ডাক্তারের খোঁজ চালায় এগরা, দিঘায় সেখানেও প্র্যাকটিস বন্ধ করে দেয়। পরে জানতে পারে নন্দকুমারের গুচ্ছাইত মেডিক্যালে হলে প্র্যাকটিস করে প্রতি শনিবার।
শনিবার সন্ধ্যায় ওই ডাক্তারের কাছে ছাত্ররা রোগির পরিচয় দিয়ে নাম লেখান। চিকিৎসককে তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নকল বলেন দাবি করেন।
এই কথা চাউর হতেই চিকিৎসা করাতে আসা রোগি ও স্থানীয়রা চিকিৎসককে ঘিরে রেখেই বিক্ষোভ দেখান। চাপের মুখে চিকিৎসক হাতজোর করে ক্ষমা চান এবং লিখিত মুচলেখা দেন। চিকিৎসকের অনুরোধ না শুনে বিক্ষোভকারিরা নরঘাটের ওই ঔষধ দোকান বন্ধ করে দেন।
নন্দকুমার থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই নকল ডাক্তারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পয়ে গ্রেফতার করে।
এরপর অভিযুক্ত চিকিৎসক পুলিশি জেরায় জানায় তার আসল নাম চন্দন দাস (Chandan Das)। বাড়ি নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্রামে।
দেখুন অন্য খবর: