কলকাতা: কেন্দ্রের কমন সার্ভিস সেন্টার কেন এখনই চালু করার নির্দেশ দেওয়া হবে না? রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট। ডিজিটাল ইন্ডিয়া রূপায়ণে যে সেন্টারের গুরুত্ব অপরিসীম।
অভিযোগ, দেশের ২৯ টি রাজ্যে ২০০৬ সাল থেকে ই-গভর্নেন্স পরিষেবা শুরু হয়। গ্রামীণ মানুষকে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সহজে পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এটা চালু হয়। ২০১৫ সালে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের সঙ্গে এই প্রকল্পে জোট বাঁধে। কিন্তু ২০২০ সালের শেষ দিকে আচমকাই রাজ্যে সেইসব সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবর্তে চালু হয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: শর্তাধীন আগাম নওশাদ সিদ্দিকিকে
মামলাকারী সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, বিএসকে থেকে কেবলমাত্র রাজ্যের প্রকল্পগুলির সুবিধা মেলে। কিন্তু দেশের বাকি ২৮ টি রাজ্য ওইসব সেন্টার মারফত এগিয়ে চলেছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বিএসকে মারফত কী সুবিধা পাওয়া যায়, তা রাজ্যকে জানাতে হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ (সিএসসি) বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য। প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে।