কলকাতা: রবিবার রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) জানিয়েছেন আচার্যের পর উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কথা। সেই বক্তব্যকে স্বাগত জানালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য (Vice Chancellor)। সেই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের বক্তব্য, তিনি যেটা বলেছেন আইন মোতাবেক বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে তার সেক্রেটারি বডি এবং বেশ কিছু কমিটির বাইরেও উপাচার্য তাঁর ক্ষমতা বলে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে পারেন। নিয়মের পরেও যদি দেখা যায় কোথাও সমস্যা আছে সে ক্ষেত্রে কেউ উপাচার্যের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়কে চালানোর জন্য তার বিধি আছে, নিজস্ব আইন আছে। আমি ঘেরাও বিলাসী নয়, আমায় ছাত্র সংগঠনগুলি চাপ দিয়েছিল। তাই আমি সংবাদমাধ্যমে যাদবপুরের খবরের বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়েছিলাম। আমি ঘেরাও হয়ে বসে থাকবো আর দেখাবো আমি ঘেরাও। এই সংস্কৃতিতে আমি বিশ্বাস করিনা।
ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রতিনিধি দল আসার আগে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটা বিস্তারিত ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফিগার দেওয়ার কথা ছিল। তবে একাধিক বিক্ষোভ, ডেপুটেশন ও চূড়ান্ত ব্যস্ততার কারণে সেটি আপাতত তৈরি করে ওঠা হয়নি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। তবে তিনি আশা করছেন পাঁচ তারিখে ইসরোর টিম আসার আগে সেই তথ্য তাদেরকে তুলে দিতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৬-৭ বছর ধরে একাধিক ফাইলপত্র পড়ে আছে। আমি আসায় এখন সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব আমাকে দিয়ে পাস করানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি সেগুলো না দেখেই কি পাস করে দেবো? কেউ যদি ভাবেন উপাচার্য আসাতে সব কাজ দ্রুত হয়ে যাবে তাহলে তিনি ঠিক বলছেন না, এর পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার জেলা কমিটি নিয়ে তীব্র কোন্দল বিজেপিতে
উল্লেখ্য, শনিবার রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যের রাজ্যপালের দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উদ্দেশে। তাতে বলা হয়েছে, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সার্বভৌম অধিকর্তা হলেন উপাচার্যই। তাঁর অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা তাঁরই নির্দেশ মেনে কাজ করবেন। সরকার তাঁদের নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু সেই নির্দেশ তাঁরা মানতে বাধ্য নন। রাজভবন থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কাছে। তাতে বলা হয়েছে, উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হর্তাকর্তা। তবে যে হেতু উপাচার্য শিক্ষাগত প্রধান, তাই বাকিরা তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করে চলবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই তাঁর নির্দেশ পালন করবেন। সরকার তাঁদের নির্দেশ দিলেও উপাচার্য অনুমোদন দিলেই তা মান্যতা পাবে। না হলে নয়। এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।