রানাঘাট: কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শার্প শুটার কুন্দন সিং যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শনিবার রানাঘাট থানায় যায় আসানসোল পুলিশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। গত মঙ্গলবার রাতে রানাঘাটে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত কুন্দন সিং যাদবকে গ্রেফতার করে রানাঘাট থানার পুলিশ।ধৃতকে জেরা করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই কুন্দনই দুর্গাপুরের আসানসোলের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের ঘটনায় যুক্ত। সেই কারণেই কুন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের ওই দলটি রানাঘাটে আসে কুন্দনকে জেরা করতে।
গত ১ এপ্রিল ফিল্মি কায়দায় কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে শক্তিগড়ে ল্যাংচা হাবের সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। সন্ধের মুখে রাউন্ডের পর রাউন্ড গুলি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, একটি নীল গাড়ি এসে রাজুদের সাদা গাড়িটির পিছনে দাঁড়ায়। সেই গাড়ি থেকেই তিনজন নেমে অবিরাম গুলি চালাতে থাকে রাজুর উপর। ওই আততায়ীদের মধ্যে কুন্দন সিংও ছিল বলে দাবি। আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট নিশ্চিত হতে চায় যে, এই কুন্দনই রাজু ঝার খুনের সঙ্গে জড়িত কুন্দন। তবে, রানাঘাট কাণ্ডের আগে পর্যন্ত রাজু ঝা খুনের মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কোন অ্যাপগুলি ডাউনলোড করা হয় জানেন?
কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ঘটনায় ১০৬ দিনের চার্জশিট পেশ করে সিট। সেই মামলায় অভিজিৎ মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ গিরি, লালবাবু কুমার, মুকেশ কুমার ও পবন কুমার ওরফে ভকতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক খুন, খুনের চেষ্টা, মারাত্মকভাবে জখম করা ও অস্ত্র আইনের ধারা আনা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে রানাঘাটের একটি প্রতিষ্টিত স্বর্ণ বিপণিতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। ৯-১০ জন ডাকাতের দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকে লুঠপাট চালায়।সেই ঘটনার পর পুলিশ চারজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে সেদিনই রাতে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে তার নাম কুন্দন। সে-ই শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের ঘটনাতেও জড়িত ছিল।