কলকাতা: রাহুল গান্ধীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রভাতী বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রে এবং রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা চলতেই পারে। তার মানেই এই নয় যে, বাংলায় তৃণমূল এবং কংগ্রেস কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে। কে কোথায় কী আলোচনা করলেন, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
এদিনই প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র এবং আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, কংগ্রেসকে যে তৃণমূল সাইনবোর্ডসর্বস্ব করে তোলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, তাদের সঙ্গে সমঝোতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক বাংলার অত্যাচারিত নিচুতলার কর্মীরা কখনওই ভালোভাবে নিতে পারেন না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই চলবেই। এই প্রশ্নে কোনও আপস হবে না।
আরও পড়ুন: হিন্দু ও জৈন ছাত্রীদের হিজাব পড়া বাধ্যতামূলক নয়, জানাল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট
বুধবার সকালে দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে রাহুলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুম্বইতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই রাহুল-অভিষেক সাক্ষাতকার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে দিনভর চর্চা চলে। এই বৈঠককে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা বা রাজ্যের আপামর কংগ্রেস কর্মীরা কীভাবে নেন, তা জানার জন্য কৌতূহল ছিল। অধীর এবং কৌস্তভ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাহুল-অভিষেক বৈঠকের কোনও প্রভাব রাজ্যে পড়বে না।
এই দুই নেতাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবার সরব। আগামীকাল শুক্রবার যখন মুম্বইতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক চলবে তখনই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে বাম প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করবেন অধীর চৌধুরী এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ধূপগুড়িতে বাম প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন অধীর। সেখানে বাম প্রার্থী ঈশ্বর রায়ের সমর্থনে সিপিএমের পাশাপাশি কংগ্রেস কর্মীরাও পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছেন। শুক্রবারের জনসভা নিয়েও গত কদিন ধরে ধূপগুড়িতে প্রচার চালিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।