কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানোর জন্য ৩৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করল রাজ্য সরকার। বুধবার উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে ওই অর্থ মঞ্জুরির বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলকাতা টিভিকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ রাজ্য সরকারকে এই আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে ইসরোর দল। এর আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আচার্য সি ভি আনন্দ বোস কথা বলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তারপরই ইসরোর দলের আসার কথা হয়েছিল। আগামিকাল তারা আসতে পারে যাদবপুরে তেমনটাই জল্পনা।
সূত্রের খবর, ইসরোর এই প্রতিনিধি দল মূলত দেখবে উন্নত প্রযুক্তি যেমন ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, টার্গেট ফিক্সিং এর মতো প্রযুক্তি যাদবপুরে কাজ করবে কি না? রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি নিয়েও হতে পারে মিটিং। শুধু তাই নয়, হস্টেলেও যেতে পারে ইসরোর দল।
আরও পড়ুন: নাকাশীপাড়ায় গুলিতে খুন তৃণমূল নেতার ভাইপো
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহু অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া ক্যাম্পাস ও হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্রমৃত্যুতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ১৩ জন। ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠে এসেছে ব়্যাগিংয়ের তত্ত্বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হস্টেলেও নিরাপত্তার ব়্যাগিং রুখতে চলেছে সিসিটিভও। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেশা ও মাদকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতে নারকটিক্স ডিটেক্টর ও অ্যালকোহল ডিটেক্টর বসানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্থাযী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ব়্যাগিং রুখতে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। এ শুধু যাদবপুর পর, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটি তৎপর হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষাপ্রতিষ্টানে ব়্যাগিং বন্ধ করার কোনও উপায় রয়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, ইসরোকে বলেছি আমাদের কী কী -র প্রয়োজন রয়েছে।