বারাসত: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণ (Explossion) স্থল সোমবার পরিদর্শন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সেখানে তিনি আশেপাশের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের আশ্বাস দেন তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখানে আরডিএক্স ব্যবহার করেছে। এনআইএ তদন্ত করতে হবে। বাজি ফেটে এটা হতে পারে না। পুলিশ প্রমাণ লোপাট করছে।
দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল এদিন পরিদর্শন করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhirranjan Chowdhury)। সেখানে তিনি এলাকা খতিয়ে দেখেন। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা সংগঠিত বোমা বানানোর কারখানা। বিস্ফোরণের যে ভয়াবহতা দেখছি তাতে আমি নিশ্চিত, সাধারণ বাজি বলতে যা বোঝায় এটা তা নয়। এখানে আরডিএক্সও ছিল। বোমার তীব্রতা দেখে বোঝা যায় সেটা কতটা ভয়ঙ্কর। বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। একটা বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়ে আরেকটা বাড়ি ভাঙছে। একের পর এক ঘটনা ঘটছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বিকার। এটার সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল জড়িত। প্রশাসন জড়িত। এখানকার বোমা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পৌঁছেছিল। আমি আদালতে যাব। বিচারকের তত্ত্বাবধানে তদন্ত চাইব।
আরও পড়ুন: বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সাসপেন্ড দত্তপুকুরের আইসি ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি
এদিকে দত্তপুকুরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)। এদিন বিধানসভা চত্বরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। ঘটনায় এনআইএ চাইছি।
অন্যদিকে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সাসপেন্ড দত্তপুকুর থানার আইসি ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সোমবার ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের মোচপোল গ্রাম। ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যুর খবর আসে। এদিন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের মদতে এবং পুলিশের নাকের ডগায় চলত বেআইনি বাজি ব্যবসা।