কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১১৮ টি স্কুলে বিজ্ঞান শাখায় চালু হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) ও ডেটা সায়েন্স (Data Science) বিষয়টি। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে তা চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য (Chiranjeeb Bhattacharjee)। বিষয়টি চালুর আগে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) শুরু হল ১৬ দিনের কর্মশালা। পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কলা ও বাণিজ্য শাখাতেও বিষয়টি চালু করা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে সাইবার সিকিউরিটির (Cyber Security) বিষয়টি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বহুলাংশে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষাক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই ও ডেটা সায়েন্সের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিশেষ করে একাদশ ও দ্বাদশে ওই বিষয় চালু করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিষয়টি চালু করতে চেয়ে ৩০০টিরও বেশি স্কুল থেকে আবেদন জমা পড়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে। কিন্তু সবদিক বিচার বিবেচনা করে আপাতত ১১৮ টি স্কুলকে সেই বিষয়টি চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। বিজ্ঞান শাখায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে আপাতত শুরু করা হচ্ছে। ১০০ নম্বরের বিষয়টিতে ৭০ নম্বর থিওরি ও ত্রিশ নম্বর প্র্যাকটিক্যাল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: লেপার্ডের আক্রমণেই মৃত্যু, মানতে নারাজ বনদফতর
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ডেটা সায়েন্স বিষয়টি ডিজাইন, পাঠ্যক্রম ও প্রশ্নের বিন্যাস সাজিয়ে তুলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ডেটা সায়েন্সের প্রাথমিক ভিত্তি থেকে বিন্যাস থাকছে সম্পূর্ণ বিষয় জুড়ে। এমনটাই জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নন্দিনী মুখোপাধ্যায়।
বর্তমান দিনে এআই এর সুফল এর পাশাপাশি চ্যাট জিটিপির মতো বেশ কিছু কুফল ও চোখে পড়ছে। যেখানে কোনও বা কারও ছবি, অডিও বা ভিডিও এআই- এর সাহায্যে পাল্টে ফেলে বিভ্রান্তি তৈরি করা বা প্রতারণা করার ঘটনা সামনে এসেছে। সেই প্রসঙ্গে কর্মশালায় যোগ দিতে আসা একটি স্কুলের শিক্ষিকার বক্তব্য, বিজ্ঞানের সুফল কুফল দুই আছে। তবে খারাপটাকে বর্জন করে ভালোটা নেওয়া পড়ুয়াদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে দিয়ে সচেতনতা তৈরি করাটাই মূল লক্ষ্য।
সিবিএসই ও আইএসসির মতোই রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিকেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ডেটা সায়েন্সের প্রাথমিক ধারণা কোডিং থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইন লেনদেন, ইউপিআই এর মত বিষয়ের উপর প্রায় প্রত্যেকেই কমবেশি নির্ভরশীল। অনলাইন বা সাইবার প্রতারণার সংখ্যাও দিনের পর দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পড়ুয়াদের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ও সচেতনতা তৈরি করতে তাই ভবিষ্যতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টিও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।