কলকাতা: ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মির (Bangladesh Army) বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সেই বাংলাদেশ আর্মিকেই পাঁচ গোল দিয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। অতি বড় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকও তখন ভাবেনি গ্রুপ শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে দল। চির-প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ১-০ হারিয়েই ভাগ্যবদল ঘটে। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ অনায়াসে জেতে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কোয়ার্টার ফাইনালে গোকুলাম এফসির (Gokulam FC) মুখোমুখি কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) লাল-হলুদ ব্রিগেড।
চ্যাম্পিয়ন হতে জিততে হবে আর তিনটে ম্যাচ। তবে আগ বাড়িয়ে ভাবার পক্ষপাতী নন লাল-হলুদ কোচ। ম্যাচের আগের দিন তিনি বলেন, “আমি এক একটা ম্যাচ হিসেবে দেখি। গ্রুপ পর্বে কিছু ভালো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলেছি আমরা, তাদের বিরুদ্ধে ভালো পারফর্ম্যান্সই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।” বলা বাহুল্য, ডার্বি ম্যাচে জয় সবথেকে বেশি আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়দের মধ্যে। ওই ম্যাচই নতুন করে স্বপ্ন সঞ্চার করেছে সমর্থকদের মনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি রান করবেন কে? কোহলি নন, কালিস বাছলেন এই ব্যাটারকে
ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচে ড্র করে পরের দুই ম্যাচ জিতেছিল, অর্থাৎ তাদের পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে আজ তাদের প্রতিপক্ষ গোকুলাম প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ ম্যাচ হেরে গিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) হারায় কেরলের দল। পরের ম্যাচে নিজের রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসএলের (ISL) ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে ৪-৩ জয় পায় ডোমিঙ্গো ওরামাসের দল। কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) কাছে হারতে হয়। তবে তা নিয়ে দুশিচন্তা করছেন না হেড কোচ।
ওরামাস বলেন, “আমরা একটা বড় দল, আইএসএল খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে তাদের শহরেই খেলব। আমরা খেলার জন্য মুখিয়ে আছি এবং সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভালো পারফর্ম্যান্স দিতে হলে আমাদের রক্ষণে জমাট হতে হবে এবং সাহসী ও আক্রমণাত্মক হতে হবে।” দর্শক সমর্থন ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে থাকলেও তারাই ফেভারিট এমন বলা যাচ্ছে না। খেলা হবে হাড্ডাহাড্ডি।