কলকাতা: নারদ কাণ্ডে এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও কেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বুধবার দিনভর যখন বিক্রমের চাঁদের মাটিতে নামা নিয়ে দেশ জুড়ে তুমুল উত্তেজনা, ঠিক তখনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক তাঁর এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে এই প্রশ্ন তুলে ইডির ডিরেক্টর এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। ওই এক্স হ্য়ান্ডেলে তৃণমূল নেতা অবশ্য শুভেন্দুর নাম করেননি। তবে স্ট্রিং অপারেশনে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, সেটি অভিষেক অ্যাটাচ করে লিখেছেন। সেই দৃশ্যের প্রমাণ হিসেবেই এই ভিডিও জুড়ে দেওয়া হল। এতে যদি আপনাদের লজ্জা হয়।
এর আগেও অবশ্য একাধিকবার বিভিন্ন সভা সমিতিতে অভিষেক একই প্রশ্ন তুলেছেন। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র এবং সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এখনও সুয়োগ পেলেই কটাক্ষ করে বলেন, নারদ কাণ্ডে এফআইআর-এ নাম থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু বড় বড় কথা বলেন কী করে। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না। শুধু তাই নয়, জেলবন্দি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতেও বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারের দাবি করে থাকেন কুণাল।
আরও পড়ুন: এরই নাম নতুন ভারত, জোহানেসবার্গে উচ্ছ্বসিত মোদি
এদিকে অভিষেক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রশ্ন তোলার আগেই ইডি এদিন লিখিত বিবৃতিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় তল্লাশির কথা জানিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, অভিষেক যে ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, ইডি বিবৃতিতে সেকথাও উল্লেখ করেছে। এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা লিখিতভাবে অভিষেকের নাম প্রকাশ্যে নিয়ে এল। ইডির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২১ এবং ২২ অগাস্ট কলকাতায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। ওই সংস্থার চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির অভিযোগ, ওই সংস্থাকে কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণও ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ওই সংস্থার একজন ডিরেক্টর ছিলেন। তদন্তে নেমে ৩০ মে ইডি সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে। ২৮ জুলাই তারা চতুর্থ চার্জশীট দাখিল করেছে। বিশেষ আদালত সেই চার্জশীট গ্রহণও করেছে। তারও আগে ইডি ১২৬ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।