মাটিগাড়া: মাটিগাড়ার মোটাজোত এলাকায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ। শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত মোটাজোত এলাকায় একটি জঙ্গলের মধ্যে থাকা পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম, মহম্মদ আব্বাস। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আজ তাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, গতকাল স্কুল ছুটির পর ওই পড়ুয়া হাটা পথেই মোটাজোত পৌঁছেছিল। অন্যদিকে ধৃত ওই যুবক সাইকেলে ছিল। তবে দু’জনের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল এবং কতদিনের পরিচয় ছিল, তা জানতে তৎপর পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে ওই এলাকায় মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে মাটিগাড়া থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই নাবালিকার দেহে মাথায় চোট রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে। তবে ঘটনা আদৌ খুন কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: এএফসির গ্রুপ পর্বে যেতে আজ মোহনবাগানের কাঁটা ওপার বাংলার আবাহনী ঢাকা
নাবালিকার হত্যার খবর পাওয়ার পরই পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসার ঘটনাস্থলে যান এবং তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এস ও জি-কে। গতকাল বিকেল থেকেই মাটিগাড়া থানা এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তাকারীরা। সেখানে একটি ফুটেজে দেখা যায়, ধৃত ওই যুবক মৃত স্কুলছাত্রীর সঙ্গে দেখা যায়। তার পরেই পুলিশ গভীর রাতে মাটিগাড়া থানা এলাকার লেলিন কলোনি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। তবে কেনই বা এই খুন, সেই বিষয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ওই যুববককে। গোটা বিষয় পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাবে বলে জানা গিয়েছে।