কলকাতা: ‘প্রচার-মন্ত্রী’ বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ছবি টুইট তৃণমূলের। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় ‘প্রচার-মন্ত্রী’ বলে মোদিকে খোঁচা তৃণমূলের। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি বারবার প্রচারের আলোতে আসার জন্য নিজেকে তুলে ধরেছেন। বিদেশযাত্রা থেকে দেশে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন সব কিছু জুড়ে নিজেকে এগিয়ে রাখতে উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী।
২০২১-এর নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘দিদি ও দিদি’ এবং ‘পদ্মে ছাপ টিএমসি সাফ’ সংলাপও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। বিজেপির অন্দরে কথাটা ভীষণভাবে প্রচলিত। এ নিয়ে নমোর জনপ্রিয়তা কয়েক গুন বেড়েছে। রাষ্ট্রনেতাদের পিছনে ফেলে একাধিকবার জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছেন নমো। শুধু তাই নয় স্যোশাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় মোদি। কিছুদিন আগেই টুইটারে ঝড় তুলেছিল মোদির জঙ্গলের মধ্যে তোলা কয়েকটা ছবি। নামিবিয়ান চিতাদের মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাতে দেখা দিয়েছে চোখে রোগ চশমা,গায়ে জঙ্গল সাফারির বিশেষ কোট। মাথায় কাউবয় হ্যাট। শুধু কি তাই অনেক বেশির ভাগ সময় বিমানবন্দরে বিমান থেকে ক্যামেরায় লং শটে দেখা যায় একা মোদিকে। তা সে কেদারনাথের গুহাতে ধ্যানমগ্ন তপস্বী বেশে হোক আর লাল কেল্লায় রেড কার্পেটের উপর হেঁটে যাওয়া। সবেতেই নিজেকে এক অন্যান্য রূপে তুলে ধরতে চেয়েছেন। নমোর মিথ্যা ভাষণের মধ্যে দিয়ে তাঁর চাতুর্যে লক্ষ্য করা যায়, বলে দাবি বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: ব়্যাগিং ঠেকাতে কুইক রেসপন্স টিম যাদবপুরে
স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা হোক কিংবা রাজনৈতিক জনসভায় বক্তব্য সব কিছুতে সাধারণ মানুষের ব্রেন ওয়াশ করতে মিথ্যাভাষ দেন প্রধানমন্ত্রী। অসত্য, মিথ্যা আশ্বাস ও চাতুর্যের সাহায্যে সাধারণ মানুযের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে তুলে ধরেন। হিন্দুত্ববাদই অস্ত্রতে বারবার শান দিচ্ছে বিজেপি। বিজেপি , আরএসএস , এনডিএ সব কিছুতেই ‘মোদি-তন্ত্র’। অর্থনীতি, বিদেশনীতি, দারিদ্রমোচন, আঞ্চলিক বৈষম্য, এমনকী মণিপুর- ভক্তদের বক্তব্য, সব ক্ষেত্রেই তিনি আশার আলো দেখিয়েছেন। মূল্যবৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। প্রোপাগান্ডার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে। আক্রমণের লক্ষ্য করছেন কংগ্রেসকে।
এদিন মোদিকে ‘গব্বর’ সাজিয়ে অ্যানিমেশন বাজারে ছেড়েছে কংগ্রেস। ব্যঙ্গচিত্রে মোদিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কিতনে আদমি থে’। কংগ্রেসের জবাব, ‘এক হি গান্ধী কাফি হ্যায়’। রাহুল গান্ধীকেও অ্যানিমেশনে ‘হিরো’র ভূমিকায় তুলে ধরেছে তাঁর দল। সোমবার ছাড়া এই অ্যানিমেশন ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফে কোনও জবাব মেলেনি।