কলকাতা: ১১ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। (Calcutta High Court)। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা ভেবেই সোমবার এই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য (Justice Sabyasachi Bhattachattachrayya)। এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) গর্ভপাত করানোর নির্দেশ বিচারপতি ভট্টাচার্য।
এদিন আদালতে তমলুক হাসপাতলের তরফে রিপোর্ট পেশ করা হয়ে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ওই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক যা অবস্থা তাতে দ্রুত গর্ভপাত করানো আবশ্যক। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান,তমলুক জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। যেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কোনও বড় হাসপাতালে এই গর্ভপাত করানোর যেতে পারে বলে জানান তিনি। এরপরই বিচারপতি জানান, তমলুক হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় ওই নাবালিকার গর্ভপাত এসএসকেএম হাসপাতালে কারনো হবে। বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি বিভাগের দক্ষ চিকিৎসকেরা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করবেন। একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ওই নাবালিকার গর্ভপাত করাতে হবে। ওই মেডিক্যাল বোর্ডে শিশুরোগ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগে এখনই হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিমকোর্ট
অভিযোগ, কয়েক মাস আগেই পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় পঞ্চম শ্রেণীর ১১ বছরের নাবালিকা। ওই নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার বিষয়টি এত দিন জানতে পারেনি পরিবার। এরপর ওই নাবালিকার পরিবার জানতে পারে মেয়ে মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাব-মা। চিকিৎসকরা জানান, ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা কিন্তু তারপর গর্ভাপাত করতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাবা-মা। আদালতে মেয়ের বাবা-মা জানান,এখন সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো তার মানসিক অবস্থা নেই। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। এদিন হাসপাতারলের রিপোর্ট দেখে আদালত গর্ভপাতের অনুমতি দিল।