কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডে ফের বাম ছাত্র সংগঠনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সোমবার নেতাজী ইনডোরে ইমাম মোয়াজ্জেমদের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সিপিএমকে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যাদবপুরকে নিয়ে আগে আমরা গর্ব করতাম। আপনারা দেখলেন যাদবপুরের একটা ছাত্রকে কীভাবে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল। এত রক্ত নিয়েও এরা বদলায়নি। বছরের পর বছর এরা রক্ত নিয়ে খেললেও শান্তি হয়নি। এরা জীবনেও বদলাবে না বলেও কটাক্ষ করেন মমতা।
যাদবপুরে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুরহস্য নিয়ে শোররগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। এদিন তদন্তের স্বার্থে ফের পুনর্নির্মাণ করা হয়। মেন হস্টেলের তিন তলার বারন্দা থেকে পুতুল ফেলে পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, সোমবার ওই পড়ুয়ার একটি প্রতীকী পুতুল বানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা যাদবপুরের মেন হস্টেল অর্থাৎ ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। হস্টেলে তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন তলার বারান্দা থেকে ওই পুতুল নীচে ফেলে পুনর্নির্মান করা হয়। সায়েন্টিফিক উইং, ফরেন্সিকের প্রতিনীধি দলের উপস্থিতিতেই এই পুনর্নির্মানের কাজ হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়রের বক্তব্যে অপমানিত, প্রতিবাদে পুরসভার সার্ভেয়াররা
সূত্রের খবর, এদিন এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় ডিসি ও এসএসডি-র নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। তদন্তে আগামীর রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৈঠকে রয়েচেন ডিসি এসএসডি সহ এসি ব়্য়াঙ্কের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে আইও, ওসি হোমিসাইডে সহ একাধিক তদন্তকারী অফিসারেরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে যাদবপুর-কাণ্ডে (Jadavpur University) ডিন অফ স্টুডেন্টস (Dean Of Student) রজত রায়কে তলব করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (Human Rights Commission)। সোমবার সল্টলেকের অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। গত ৯ অগাস্ট রাতে ফোন পেয়ে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, কাকে ফোন করেছিলেন, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসির র্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি অমান্য করার কারণও দর্শাতে বলেছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন।