পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার অন্তর্গত মণ্ডপ ঘটে এলাকায়। অভিযুক্তের নাম অরিন্দম বালা। একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত তিনি। তাঁর সঙ্গে বারাসতের বাসিন্দা রত্নাবলী বলার বিয়ে হয়। এরপর পারিবারিক কারণ নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। পরিবার সূত্রে খবর, ওই মহিলা বেশির ভাগ সময় বাপের বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু শনিবার বাড়ি আসেন আর তারপর ভোর রাতে দাদার চিৎকার শোনা যায়। অভিযুক্তের ভাইই জানিয়েছে যে তাঁর দাদা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে নিজের স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেনেন। এরপর বাগদা থানায় ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেন।
এদিকে, কযেকদিন আগে ধূপগুড়িতে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী বিজেপির বুথ তথা অঞ্চল স্তরের নেতা বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূলের। ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য বোড়াগাড়ি এলাকার ঘটনা। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি যখন রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নেই, নারীরা সুরক্ষিত নয় বলে দাবি করে, ঠিক তখনই বিজেপির একজন অঞ্চল সহ সভাপতি তার স্ত্রীকে খুন করে। যদিও বিজেপির দাবি, অভিযুক্ত দলের কোনও নেতা নন। সাধারণ সমর্থক হতে পারেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এদিন ভোরে ভুপাল রায় নাম এক ব্যক্তি স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে ধানখেত থেকে উদ্ধার হয় মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোরেই স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ বাধে। পরে তা এতটাই চরমে ওঠে যে ভুপাল স্ত্রীকে টেনে ধানখেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সে কুপিয়ে খুন করে স্ত্রীকে। ঘটনার পর ভুপালই পূর্ববধূকে এবং প্রতিবেশীদের স্ত্রীকে খুনের কথা জানান। খবর যায় পুলিশে।পুলিশ আসার আগেই ভুপাল থানায় পৌঁছে যায়।
তৃণমূল এই ঘটনাকেই হাতিয়ার করে প্রচারে নেমে পড়েছে। আগামী মাসের প্রথমেই ধূপগুড়ি বিধানসভায় কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই ঘটনাকে তৃণমূল ভোটও কাজে লাগাতে চাইছে। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, আমরা খুন নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাই না। কিন্তু আজ বারঘড়িয়াতে যে ঘটনা ঘটল তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ভুপাল বিজেপির বারঘড়িয়া অঞ্চল কমিটির সহ-সভাপতি। সে তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।
বিজেপির পূর্বমণ্ডল সভাপতি আশিস কর্মকার জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বিজেপির সমর্থক হতে পারেন। তিনি কোনও দলীয় পদে নেই। তৃণমূল এই খুন নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে। আমরাও চাই দোষী ব্যক্তির শাস্তি হোক।