মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সারা রাজ্যে বাজ পড়ে মৃত্যু হল ২৭ জনের। সোমবার বিকালে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ কয়েক ঘণ্টা ভারী বর্ষণ হয় জেলায় জেলায়। এই ঘটনায় হুগলিতে ১১, মুর্শিদাবাদে ৯, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে ২ জন করে মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য দু লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করে এই ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্যুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
একদিনে একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তায় রাজ্য সরকার। যত দিন যাচ্ছে বাজ পড়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়। সেই কারণে এই মেঘকে বজ্রগর্ভ মেঘও বলা হয়ে থাকে। গত কয়েক বছর ধরে এপ্রিল-মে মাসে বাংলায় এই বজ্রগর্ভ মেঘের পরিমাণ বেড়েছে। তার একটা অন্যতম কারণ যেমন বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য, তেমনই অপর কারণ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত দূষণ। দূষণের মাত্রা যত বাড়ছে, গড় তাপমাত্রা তত বাড়ছে। ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হওয়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তারই জেরে এত মৃত্যু।