কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অ্যান্টি র্যাগিং সেলের (Anti Ragging Cell) কী ভূমিকা ছিল? রাজ্য সরকারও দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি (CCTV) কেন লাগানো ছিল না? ইউজিসির নিয়ম মানতে বাধ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বামপন্থ ও অতি বামপন্থীরাই সিসিটিভ লাগাতে বাধা দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন বহিরাগতদের আখড়া হয়ে উঠেছে। এসে রবিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Prodhan)।
এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, রাজ্যে একটি পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। সেটাও আর থাকবে না। কাদের আমলে ক্যাম্পাসে নেশার বাড়ন্ত দেখতে হবে। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের অবশ্য মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্র কোথায় থেকে কোথায় গিয়েছে। রাজ্য সরকারকে পুরস্কৃত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, এটা হৃদয় বিদারক ঘটনা। তবে সিসিটিভি একটা লাগানোটাই সমাধান নয়। মানব নজরদারিও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সবটাই খতিয়ে দেখতে হবে। উপাচার্য রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার সময় গেট বন্ধ ছিল। সে গেট খুলে ভেতরে ঢোকার ও অরবিন্দ ভবনে আসার পর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে তদন্তে উঠে এসেছে, যাদবপুর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চরম অত্যাচার মৃত ছাত্রের উপর। অন্য দাদাদের নামে গালিগালাজ লিখে সেগুলো চিৎকার করে পড়তে বলা হত। ক্লাসের সুন্দরী মেয়ের নাম বলতে বলা হয়। তারপর তার বিবরণ দিতে বলা হয়। মেয়ে না কি সমকামী প্রমাণ দিতে বলা হয়। ইন্ট্রোর নামে চরম অত্যাচার চলে।
আরও পড়ুন: ট্যাব পাইয়ে দেওয়ার নাম করে পড়ুয়াদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ
ধৃত প্রাক্তন ছাত্র জয়দীপ ঘোষ থাকত বিক্রমগড়ে। ঘটনার দিন সে কেন হস্টেলে এসেছিল তাই ভাবাচ্ছে। কে তাকে ফোন করে খবর দিয়েছিল? একাধিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, ডিন অফ সাইন্স এর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন সুবিনয় চক্রবর্তী। সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তর কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র তিনি আজ সকালে পাঠিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়ে দেওয়া ইন্টার্নাল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির মাথা ছিলেন তিনি। কেন এভাবে পদত্যাগ করলেন তিনি সেই নি