কলকাতা: শনিবারও দফায় দফায় উত্তেজনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সকাল থেকে এসএফআই এবং আইসা প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়। তারই মধ্যে বিকেলে সিসি ক্যামেরা হাতে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। যাদবপুরে হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর পরই রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব টিএমসিপির যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট গঠন করেছে। তার সভানেত্রী করা হয়েছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে উঠে আসা রাজন্যা হালদার। চেয়ারপার্সন করা হয়েছে সঞ্জীব প্রামাণিককে। তাঁরা দু’জনেই হাজির ছিলেন সিসি ক্যামেরা হাতে।
এদিন মিছিল করে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু কাছে ডেপুটেশন জমা দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথাবর্তাও হয়। বেরিয়ে এসে রাজন্যা জানান, ক্যাম্পাসের ভিতরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার তাঁদের থেকে ১০ দিন সময় চেয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে সিসি ক্যামেরা না বসলে টিএমসিপি চুপ করে বসে থাকবে না। অন্যদিকে, সঞ্জীব বলেন, ক্যাম্পাসের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে অরাজকতা চলছে। সেটা আর মেনে নেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: পরিকল্পিত অপরাধ, ধৃতরা তদন্তের অভিমুখ ঘোরাতে চাইছে, দাবি আদালতে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন সিসিটিভি লাগানো হয়নি তা নিয়ে চারিদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইউজিসির গাইড লাইন থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনও প্রশ্ন তুলেছে তা নিয়ে। রবিবার কমিশন প্রশ্ন তুলেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কী ভিন গ্রহের, যে সব জায়গায় থাকলেও সেখানে সিসিটিভি নেই কেন? তবে এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠনন এসএফআই। সেখানে তারা সাফাই দিয়েছে, তারা সিসিটিভির বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু ক্যাম্পাসে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি করার বিরুদ্ধে।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে চিঠি দিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। রবিবার রানাঘাটে মৃত ওই পড়ুয়ার মামার বাড়িতে যান শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চট্টোপাধ্যায় সহ কমিশনের সদস্যরা সেখানে কথা বলেন মৃতের মা-বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে।