বহরমপুর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর পিছনে তৃণমূল আশ্রিত প্রাক্তন ছাত্ররা রয়েছে বলে দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে তিনি বলেন, ঘটনায় তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় এত দেরি হচ্ছে।
গত ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে এক আবাসিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে এখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। অভিযোগ উঠেছে, ব়্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বাংলা প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের। তারপর থেকেই উত্তাল যাদবপুরের ক্যাম্পাস। এসএফআই-সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, এর পিছনে তৃণমূলের মদতপুষ্ট কালেক্টিভ নামে একটি স্বাধীন সংস্থার হাত রয়েছে। যে নজন বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা ওই সংস্থার সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি
এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও তৃণমূলের দিকে আঙুল তুললেন। এদিন বহরমপুরে অধীর বলেন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হস্টেল এখন তৃণমূলের দখলে। সর্বত্র তৃণমূলের রাজ চলছে। হস্টেলগুলিতে মদ, গাঁজার আসর বসে। তৃণমূলের প্রশ্রয় ছাড়া এটা সম্ভব হতে পারে না। তার সঙ্গে রয়েছে পুলিশের মদত।
অধীর বলেন, আমি খুব দায়িত্ব নিয়ে বলছি, যাদবপুরের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যাদবপুরের হস্টেল সুপার এদিনই স্বীকার করেছেন, হস্টেলে মদ, গাঁজার আসর বসে। সেখানে নজরদারি বলে কিছু নেই। সেই প্রসঙ্গেই অধীর বলেন, হস্টেল সুপার তো ঠিক কথাই বলেছেন। এখন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হস্টেলে সরকারি দল রাজত্ব চালাচ্ছে। সেখানে তৃণমূলরাজ চলছে। দেখারও কেউ নেই, বলারও কেউ নেই।
তৃণমূল অবশ্য যাদবপুরের ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত ১৪ অগাস্ট বেহালায় এক অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন, এসব মার্ক্সবাদীদের কাজ। যাদবপুরে কিছু আগমার্কা সিপিএম আছে। তাদের কাজ এটা। এরা হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে দেয় না, সিসিটিভি লাগাতে দেয় না। এর জন্যই আমি সেখানে যাই না।