কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বুধবার ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই পড়ুয়ার ইন্ট্রো পর্ব চলে। ৬৮ নম্বর রুম সহ একাধিক রুমে গিয়ে ইন্ট্রো দিতে হয় প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে। তারমাঝেই ১০৪ নম্বর রুমে নিয়ে গিয়ে লেখা হয় চিঠি। ওই চিঠি লেখার মাস্টারমাইন্ড ছিল সৌরভ ও সপ্তক। তবে ধৃতদের দাবি, চিঠি লেখার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল ওই পড়ুয়া। ধৃত দীপশেখর জেরায় দাবি করেছে, ওই পড়ুয়ার হয়ে তিনি এই চিঠি লিখেছে এবং সেখানে সাক্ষর করে ওই পড়ুয়া।
পুলিশ ধৃতদের জেরা করে আরও জানতে পেরেছে, ঘটনার আগে ওই পড়ুয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। সেইসব দেখে ডিনকে ফোন করেছিল ধৃত আর এক ছাত্র আরিফ। তার আরও দাবি, মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় আরিফ তার হাত ধরে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোনও ভাবে হাত ফসকে যায়। তারপর ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় হস্টেল সুপারকে ফোন করেন। সেই ফোন পেয়ে সুপার মেন হস্টেলের নীচে গিয়ে ঘুরেও আসেন বলে পুলিশকে বয়ান দিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, এদিন যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিল। সূত্রের খবর, প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর উপর কোনও যৌন নির্যাতন করা হয়নি। ধৃতদের দাবি, ঘটনার দিন ওই পড়ুয়া নিজেই নিজের জামাকাপড় খুলে ইন্ট্রো দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর-কাণ্ডে ধৃত ছয়জনকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত
এদিন রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ২০১৪ সাল থেকে হস্টেলে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। শুধুমাত্র মেয়েদের হস্টেলেই প্রশাসনিক কড়াকড়ি রয়েছে, ছেলেদের হস্টেলে সেরকম কিছু নেই বলে জানান তিনি। পাশাপাশি হস্টেলের রুম অ্যালটমেন্ট কীভাবে হয়, বেআইনিভাবে যাঁরা থাকতেন সে বিষয় কিছু জানেন কি না, তাও রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসা করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অ্য়ান্টি ব়্যাগিং কমিটি আছে কি না, থাকলেও কীভাবে কাজ হয় সে বিষয়ও জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে।