নয়াদিল্লি: লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণের পালটা জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার বাদল অধিবেশনের শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন, মণিপুরের মতো একটা গুরুতর বিষয় নিয়ে মশকরা, তাচ্ছিল্য, উপহাসের সুরে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্লজ্জভাবে হাসছিলেন। উল্লেখ্য, অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিতর্কে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় দিন রাহুল গান্ধী তুলোধনা করেন মোদিকে। অথচ, মোদি তাঁর জবাবি ভাষণের দীর্ঘ সময় মণিপুর প্রসঙ্গকে উহ্য রেখে গান্ধী পরিবার, কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে কটাক্ষ করেন। যা দেশের মানুষ ভালো চোখে মেনে নেয়নি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচার-ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের। এদিন সেই সব প্রসঙ্গই উত্থাপন করেন রাহুল।
ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল এই অধিবেশন চলাকালীনই সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পান। অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার আগের দিনই লোকসভায় প্রবেশ করেন তিনি। এবং আলোচনার দ্বিতীয় দিন বক্তব্য পেশ করেন। সেখানে ছত্রে ছত্রে রাহুল মোদি এবং বিজেপিকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করেন। আলোচনার শেষদিনে প্রধানমন্ত্রী জবাবি ভাষণে সেইসব উত্তর দিতে গিয়ে গান্ধী-নেহরু পরিবারবাদ, ভারতভাগ থেকে ভ্রান্ত সীমান্ত নীতি এমনকী কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বী রাজ্যগুলিতে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেন।
রাহুল বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী প্রায় ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট বলেছেন। একেবারে শেষে মণিপুর নিয়ে মাত্র ২ মিনিট বলেন। কয়েক মাস ধরে মণিপুর জ্বলছে। মানুষ খুন হচ্ছে। ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী হাসছিলেন, মজা করছিলেন, যা তাঁকে শোভা পায় না। রাহুল আরও বলেন, সেনাবাহিনীর হাতে দিলে তারা দুদিনে অশান্তি ঠান্ডা করে দিতে পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চাইছিলেন মণিপুর জ্বলুক এবং সেই আগুন নেভানোর কোনও চেষ্টাই করেননি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ২০২৮ সালে ফের বিরোধীরা অনাস্থা আনবে বলে মন্তব্য করেন। এদিন সেকথার উল্লেখ করে রাহুল বলেন, পরের বছর মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হবেন কি হবেন না সেটা বড় কথা নয়, মণিপুরের শিশু ও মানুষ খুন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কি উচিত ছিল না একবার মণিপুরে যাওয়া! সেখানকার মানুষের সঙ্গ কথা বলা। তাঁদের কাছে এই বার্তা দেওয়া যে, আমি তোমাদের প্রধানমন্ত্রী, এসো আলোচনায় বসি। কিন্তু আমরা দেখলাম এরকম কোনও সদিচ্ছাই তাঁর নেই।