রাঁচি: সংখ্যালঘু যুবককে নিজের থুতু চাটতে বাধ্য করলেন বিজেপি নেতা। এই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্র কুনওয়ার (BJP Former MLA Devendra Kunwar) বিরুদ্ধে। এই পাশবিক অত্যাচারের ছবি ধরা পড়ল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand)দুমকা জেলায়। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ‘কলকাতা টিভি অনলাইন’ ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
ভাইরাল হওয়া ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সাদা পোশাকে চেয়ার বসে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র কুনওয়ার। জারমুণ্ডির প্রাক্তন বিধায়কের সামনে দাঁড়িয়ে এক সংখ্যালঘু যুবক। দেবেন্দ্র কখনও তাঁকে লাথি মারছেন, কখনও তাঁকে কান ধরে ওঠবোস করতে নিদান দিচ্ছেন। অসহায় ভাবে মুখ বন্ধ করে সেই আদেশ মানছেন ওই যুবক। শেষে তাঁকে মাটিতে থুতু ফেলতে এবং বাধ্য করা হয় নিজের থুতু চাটতে। প্রাক্তন বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তখন রীতিমতো চিৎকার করছেন। প্রাণভয়ে শেষপর্যন্ত থুতু চাটতে বাধ্য হন ওই যুবক। ওই যুবক দুমকা জেলার সাধুদিহ গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাটি ঘটেছে ৬ আগস্ট। এর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যম। অমানবিক এই ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়ে পড়েছে তুমুল বিতর্ক। নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশ। টুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে সংখ্যালঘু যুবককে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়কের হেনস্তার এই ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক। বিজেপি নেতাদের নৈতিকতা বোধের অভাব স্পষ্ট। সামগ্রিকভাবে দলেরও সেই একই অবস্থা। তবে পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে তারা কোনও অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় ওয়েবসাইটে মোদির প্রাণনাশের হুমকি, তদন্তে পুলিশ
কুনওয়ার, ওই লাথি মারার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যে তিনি যদি অভিযুক্তকে শাস্তি না দিতেন তবে জনতা তাকে খুব মারধর করতে পারত। কিংবা প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়তে পারত। বিজেপি নেতা বলেন, অভিযুক্তের দাদার কাছাকাছি ফলের স্টল। কুনওয়ার জানান, ওই যুপব নদীতে স্নানরত মেয়েদের ছবি তুলছিলেন। তাই তিনি তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন। অথচ দেবেন্দ্রর এই দাবি মানতে নারাজ গ্রামবাসীরা। তাঁদের পালটা দাবি, এমন কিছুই ঘটেনি। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়তেই নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতা। হেনস্তায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতার শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব গ্রামবাসীরা।
এই প্রথম নয় এর আগেও বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে এক আদিবাসীর গায়ে প্রস্বাব করতে দেখা গিয়েছিল ব্যাক্তিকে।তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে। এই ঘটনায় বিরোধীরা বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানায়। শেষে আসরে নামেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি ওই আদিবাসীকে নিজের বাড়িতে ডেকে তাঁর পা ধুইয়ে দিয়ে ক্ষমা চান।