নয়াদিল্লি: সোমে পুনরাগমন। মঙ্গলে ব্রহ্মাস্ত্র ক্ষেপণ। আগামিকাল লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে মোদি সরকারকে চাঁদমারি করতে রাহুল গান্ধীকেই প্রধান সেনাপতি করতে চলেছে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনাস্থা-বিতর্কে রাহুল গান্ধীই প্রধান বক্তা হিসেবে দাঁড়াবেন। বিরোধী জোটের পরাজয় নিশ্চিত জেনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমালোচনার বর্শায় বিদ্ধ করবেন সদ্য সাংসদ পদ ফিরে পাওয়া রাহুল।
আদালতের নির্দেশে একটি অধিবেশনে লোকসভায় ঢুকতে পারেননি কেরলের ওয়েনাড়ের এমপি রাহুল। বাদল অধিবেশনের অর্ধেকটাই তাঁকে বাইরে কাটাতে হয়েছে। ফলে জনপ্রতিনিধিসভায় দীর্ঘদিন মুখ খোলার সুযোগটুকু জোটেনি। এরমধ্যে মণিপুর নিয়ে প্রথমদিন থেকে উত্তাল দুই কক্ষ। হরিয়ানাও বেশ কয়েকদিন ধরে অশান্ত। রয়েছে বেকারি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের মতো জ্বলন্ত ইস্যু। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বিরোধীদের ২৬টি দলের মিলিত জোট ইন্ডিয়ার শক্তি। সব মিলিয়ে কাল অনাস্থা বিতর্কে রাহুলকে তেড়েফুঁড়েই মোদি সরকারের পোস্টমর্টেম করতে দেখা যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: মণিপুরে হিংসার ঘটনায় সিট গঠন রাজ্য সরকারের
কংগ্রেস এমপি মানিকম সোমবার বলেন, মঙ্গলবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে রাহুল গান্ধী চাঁচাছোলা ভাষণ দিতে প্রস্তুত। রাহুল গান্ধী গত ২৯ জুন মণিপুর গিয়েছিলেন। রাজ্যপাল এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেই সব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেও মোদি-শাহ জুটিকে আক্রমণ করতে পারেন কংগ্রেস নেতা। এই কথার সপক্ষে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এদিন বলেন, এটা সত্যের জয়। লোকসভায় রাহুলের কথা শুনতে চায় দেশের মানুষ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার পরপরই রাহুল গান্ধী তাঁর টুইটার বায়ো বদল করে ফেলেন। ফের লোকসভার সদস্য হিসেবে তাঁর পরিচয়ে লেখেন রাহুল। অন্যদিকে, এদিনই রাজ্যসভায় দিল্লি বিল পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে লোকসভায় পাশ হয়েছে এই বিল। রাজ্যসভায় এই বিল পাশ নিয়ে সামান্য দোলাচল থাকলেও ওয়াইএসআর এবং নবীন পট্টনায়ক বিজেপিকে সমর্থন জানানোয় মেঘ পুরোপুরি কেটে গিয়েছে।