রায়পুর: ঠিক যেন শোলে (Sholay) সিনেমার গল্প। ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী অভিনীত এই সিনেমায় বাসন্তীকে বিয়ে করার জন্য জল ট্যাঙ্কের উপরে উঠে গিয়েছিলেন বীরু। বাসন্তী তাঁকে বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন, জলের ট্যাঙ্কের ওপর থেকে সেই হুমকি দিয়েছিলেন। আর নিচ থেকে গ্রামবাসীরা তাঁকে নামার অনুরোধ করছেন। শোলে সিনেমার এই বিখ্যাত দৃশ্যই এবার দেখা গেল ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh)। প্রেমিকের (Boyfriend) ওপর রেগে সোজা হাইটেনশন টাওয়ারে চড়ল প্রেমিকা (Girlfriend)। এদিকে, রাগ ভাঙতে প্রেমিকও চড়তে শুরু করল হাইটেনশন টাওয়ারে (High Tension Tower)। প্রেমিক যত ওঠে, রাগ বেড়ে প্রেমিকা আরও অনেকটা উঠে যেতে থাকে। দুই যুগলের এ হেন কাণ্ডে শোরগোল পড়ে যায়। যুগলের কাণ্ডের একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমিকের উপর রাগ দেখিয়ে ৮০ ফুট উঁচু হাইটেনশন টাওয়ারে উঠে যায় প্রেমিকা। এদিকে প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে প্রেমিকও চড়তে শুরু করল হাইটেনশন টাওয়ারে। এদিকে যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারে, আঁচ করেই স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে কাঁটা। কারণ, একটু এদিক ওদিক হলেই মৃত্যু অবধারিত ছিল। গ্রামবাসীদের তরফে খবর দেওয়া হয় তাদের পরিবারকে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাকেও।
আরও পড়ুন:পুলিশের তাড়া খেয়ে ভাগীরথীতে মরণঝাঁপ কলেজ ছাত্রের
বৈদ্যুতিক টাওয়াকে যুগলের উঠে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় থানার পুলিশ। টাওয়ার থেকে নীচে নামার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু প্রথমে তারা নামতে অস্বীকার করে। প্রথমে হাই টেনশন তারে বিদ্যুত সংযোগ প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা হয়। আধ ঘণ্টার চেষ্টায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিরাপদে নামিয়ে আনে পুলিশ। পুরোও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে পাশের গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের বেশ কয়েকদিন ধরে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ককে ঘিরে দুই পরিবারের মধ্যে ছিল আপত্তি। ঘটনার দিন একটি ফোন কলকে ঘিরে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর রাগ করে প্রেমিকা বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে পড়ে। প্রথমে প্রেমিকাকে না ওঠার জন্য প্রেমিক বারবার আবেদন করেছিল। কিন্তু নাবালিকা তা না শোনায়, পরে প্রেমিকেও তাকে অনুসরণ করে টাওয়ারে ওঠে। নামার সময় প্রেমিক ও তার সঙ্গী অক্ষত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক টাওয়ারে ওঠার জন্য যুগলের বিরুদ্ধে কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ। কেবলমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।