ইম্ফল: মণিপুর (Manipur) সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার বিজেপির (BJP) শরিক কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের। এতে অবশ্য বীরেন সিং সরকারের কোনও সংকট হবে না। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় কেপিএর সদস্য আছেন দুজন। গত তিন মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। শনিবার আবার নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর সীমান্ত এলাকা। গোলাগুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আহত ১৬ জন। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মণিপুর সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিল এনডিএ শরিক কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স (KPA)। দলের তরফে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে রবিবার রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকিকে চিঠি দিয়েছে কুকি পিপলস অ্যালায়েন্স।
মণিপুর বিধানসভায় কুকি পিপলস অ্যালায়েন্সের দুই বিধায়ক রয়েছেন। এন বীরেন সিংয়ের সরকারকে সমর্থন জানাতেন তাঁরা। কিন্তু, এদিন সমর্থন প্রত্যাহার করে সরাসরি রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন কেপিএর প্রধান তোংমাং হাওকিপ। চিঠিতে জানানো হয়েছে, “সাম্প্রতিক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করার পরে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মণিপুরের বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থন আর ফলপ্রসূ নয়৷ তাই মণিপুর সরকারের উপর থেকে কেপিএর সমর্থন প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
এদিকে সোমবার থেকে মণিপুর ইস্যুতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে সংসদ। ২০ জুলাই থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। মণিপুর ঘিরে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে সংসদে এই কদিন কাজ কার্যত হয়নি। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার থেকে তিনদিন আলোচনা হতে পারে। এই প্রস্তাব আনার পিছনেও রয়েছে মণিপুর ইস্যু।
আরও পড়ুন:বর্ধমানে বিজেপি সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় জখম সাইকেল আরোহী মহিলা
উল্লেখ্য, কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের জেরে উত্তাল মণিপুর। দু-পক্ষের সংঘর্ষে ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ মে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর যে ঘঠনা ঘটেছিল সেই সময় সন্নিহত থানার ৫ পুলিস কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় ৩০০ জনকে এখনওপর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র প্রতিনিধিরা মণিপুর গিয়েছিলেন। মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা প্রসঙ্গে উত্তাল হয়েছে সংসদও। এবার এর আঁচ পড়ল সরাসরি মণিপুর সরকারের উপর।