হাওড়া: রাজ্যের ব্লকে ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিক্ষোভ (Agitation) কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। কেন্দ্রের (Central Government) বঞ্চনার (Deprivation) প্রতিবাদে এই ধরনা কর্মসূচি। রবিবার বেলা ১২টা থেকে এই প্রতিবাদ (Protest) কর্মসূচি চলছে। বিকেল ৪টে পর্যন্ত তা চলবে। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। উল্টোডাঙায় মঞ্চে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), চেতলায় ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), বাগবাজারে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বরানগরে ছিলেন বিধায়ক তাপস রায়। বিভিন্ন মন্ত্রী, বিধায়করা নিজের এলাকাতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন। উল্লেখ্য, ২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ মঞ্চের সভায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তা আটকে রাখা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সমস্ত জায়গাতেই গণ অবস্থান চলছে। বিজেপির বন্ধুদের এই অবস্থানে সামিল হতে বলব। কারণ এটা বাংলার প্রতি বঞ্চনা।
বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেলের সামনে ধরনা মঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, তৃণমূল নেতা শ্যামল মিত্র, মৃণাল দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: অমৃত ভারত প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে রাজ্যের ২১টি স্টেশন
তবে তৃণমূলের এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, তৃণমূল সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁদের এই সব সাজে না। শুভেন্দু অধিকারী এটাকে চোরেদের ধর্না বলে কটাক্ষ করলেন। এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, চোরের দলেরা আজ ধর্নায় বসেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা কথা বলে। তাঁরা বলেন বৈমাত্রিক আচরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের উচিত দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিবস পালন করা। প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি নয়, রাজধর্ম পালন করে উত্তরপ্রদেশের পর রেল দফতরের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ৩৭টি রেল স্টেশনে প্রায় ২৪হাজার কোটি টাকা খরচ করে আধুনিকরণ করার শুভ সূচনা করেছেন।