বেহালা: বেহালার দুর্ঘটনার পর কড়া লালবাজার। শনিবার লালবাজারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতার সমস্ত থানার ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসিকে সবসময় থানায় থাকতে হবে। পাশাপাশি সমস্ত থানায় ২৫ শতাংশ ফোর্স থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স থাকার কথা বলা হয়েছে। লালবাজারের আরও নির্দেশ, সশস্ত্র পুলিশের ২৫ শতাংশকেও কলকাতার সমস্ত ব্যারাকে থাকতে বলা হয়েছে। রাতেও যেন এই পরিমাণ ফোর্স থাকে তাও নিশ্চিচ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যে কোনও ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পরিমাণ মহিলা পুলিশ রাখতে হবে।
শুক্রবার বেহালার পথ দুর্ঘটনার পর টনক নড়ে লালবাজারের। তড়িঘড়ি বেহালা চৌরাস্তার মোড়ে ড্রপ গেট বসায় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। পথচারীদের রাস্তা পারাপারে নিয়ন্ত্রণ করতে বসানো হচ্ছে এই ড্রপ গেট। লালবাজার সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের অনুরোধ পেয়ে তড়িঘড়ি ৫টি ড্রপ গেট বসানোর ছাড়পত্র দিয়েছে লালবাজার। ইতিমধ্যে বোহালা চৌরাস্তায় ড্রপ গেট বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় গেটটি বসবে বরিশা স্কুলের সামনে। একটি করে গেট বসবে বেহালা ট্রাম ডিপো ও সখেরবাজার এলাকায়। বাকি একটি গেট কোথায় বসানো হবে তা সার্ভে করে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বেহালা চত্বরে এই প্রথম ড্রপ গেট বসানো হল।
আরও পড়ুন: বাম দলগুলি বামপন্থাকে কলঙ্কিত করেছে, ব্রিগেডে অভিযোগ এসইউসির
গতকালের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা চত্বর। মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের একটি গাড়িতে। বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোড। স্থানীয় মানুষজন ও বড়িশা স্কুলের অভিভাবকরা ছুটে আসেন ও দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের প্রিজন ভ্যান সহ বেশ কয়েকটি বাইকে ভাংচুর চালায়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিভাবক ও পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ চলে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। স্থানীয়রাও পুলিশকে লক্ষ্য করে যথেচ্ছ ইটবৃষ্টি করে। এর জেরে ৮ জন পুলিশ জখম হন। এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।