বহরমপুর: লকআপে বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় নবগ্রাম থানার ওসি অমিত কুমার ভকতকে সাসপেন্ড করল জেলা পুলিশ। তাতেও নবগ্রামের সিঙ্গার গ্রামের মানুষের ক্ষোভ বিন্দুমাত্র কমেনি। শুক্রবার গভীর রাত থেকে গ্রামের মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। শনিবারও তা অব্যাহত ছিল। নবগ্রাম থানায় ইটবৃষ্টি চলে। গভীর রাতে পুলিশ কাঁদানের গ্যাসের শেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। এদিনও দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে। নিহত গোবিন্দ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়ে। জনতা লাঠি, বাঁশ হাতে পুলিশকে তাড়া করে। পুলিশ পালিয়ে বাঁচে। এদিন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়।
পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতে চুরির অভিযোগে বুধবার বাড়ি থেকে তুলে আনা হয় গোবিন্দকে। পুলিশ জানিয়েছিল কয়েকদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে।কিন্তু তারপর শুক্রবার তাঁর পরিবারের কাছে খবর আসে, লক আপেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে গোবিন্দর। রাতেই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে। তিনিই থানার লকআপে গোবিন্দকে পিটিয়ে মেরেছেন বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, শৌচালয়ে গিয়ে আত্মঘাতী হন গোবিন্দ।
আরও পড়ুন: ভোট সন্ত্রাসে ঘরছাড়াদের পাশে থাকার আশ্বাস সিপিএমের আইনজীবী সংগঠনের
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেই তড়িঘড়ি জেলা পুলিশ ওসিকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণত এ ধরনের ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত হয়। তারপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু নবগ্রামের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ওসিকে সাসপেন্ড করা হল।