জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় ঘরছাড়াদের পাশে থাকার আশ্বাস সিপিএমের আইনজীবী সংগঠনের (CPM Lawyers Association)। শনিবার আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে আইনি সহায়তা করারও আশ্বাস দেন সংগঠনের নেতৃত্বরা। ভোটের পর প্রায় এক মাস হতে চলল সিপিএম প্রার্থী মেহে আঞ্জুমান আলম সহ অনেকে এখনও ঘরছাড়া হয়ে আছে। এখনও আতঙ্কে রয়েছেন বিরোধীরা।
গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ব্যাপক অশান্তি সৃষ্টি হয় রাজগঞ্জের (Rajganj) সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের জুম্মাগছ ১২১ নম্বর বুথে। সেকারণে ১০ জুলাই জুম্মাগছ বুথে পুনঃনির্বাচন হয়। সেদিন ওই বুথের জুম্মাগছ, কুয়ারবাড়ি, দিলুগছ ও চতুরাগছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। বামপন্থী দলের অনেক বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। ভোটের পর প্রায় এক মাস হতে চলল সিপিএম প্রার্থী মেহে আঞ্জুমান আলম সহ অনেকে এখনও ঘরছাড়া হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: এবার জয়নগরে পুকুর থেকে মিলল একাধিক ব্যালট বাক্স
তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হলেও,ওই এঞ্চলে আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন বিরোধীরা। দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বাড়িতে থাকা মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেক পরিবারে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আজ অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স ইউনিয়ন এর জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ওই নির্যাতিত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। জানা গিয়েছে, সিপিএমের প্রার্থী সহ ৩৯ জনের নামে মামলা করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই গ্রেফতার হতে পারে, এই ভয়ে প্রায় ৫০ জন এখনও ঘরছাড়া। সিপিএমের পক্ষ থেকেও পাল্টা তৃণমূলের ৪৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে বলে খবর। সিপিএম প্রার্থীর ননদ পিংকি বেগম বলেন, বাড়িতে এলেই গ্রেফতার হতে পারে। এই ভয়ে পুরুষরা ঘরছাড়া হয়ে আছে। এখন ধান চাষ সহ চাষ আবাদের সময়। সেটাও বন্ধ হয়ে আছে। আমরা চাই প্রশাসন ঘরছাড়াদের বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করুক।
অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক শংকর দে বলেন, সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে যে অত্যাচার চালিয়েছে তা ভয়াবহ। তা এদিন সরেজমিনে দেখে শিউরে ওঠার মতো। পুলিশ আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে আক্রান্তদের নামে মামলা করেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। তাতেও সুরাহা না হলে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি কাবেরী চক্রবর্তী ছাড়াও দীপক রায়, প্রীতম নন্দী , পদ্মনাভ চক্রবর্তী, সাগ্নিক দে, আলপনা ওরাও সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।