বহরমপুর: বহরমপুর: নওদা ব্লকের চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়ী তিন কংগ্রেস প্রার্থীর যোগদান তৃণমূলে। ওই তিন প্রার্থীকে অপহরণ ও ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় চাঁদপুর গোঘাটা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কংগ্রেস। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার কর তৃণমূলের দাবি, ওই তিন কংগ্রেস প্রার্থী স্বেচ্ছায় যোগদান করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তরজা রাজ্য রাজনীতিতে।
বহরমপুরের একটি হোটেল থেকে তিনজন কংগ্রেস প্রার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, নওদা ব্লকের চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তিনজন কংগ্রেস প্রার্থী সহ আরও ১১ জন কংগ্রেস এবং আরএসপি প্রার্থী নিরাপত্তার দাবি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই প্রার্থীদের মধ্যে তিনজনকে শুক্রবার রাতে বহরমপুরের রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে ২৫ থেকে ৩০ জন দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই হোটেলে প্রার্থীদের অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় সিপিএম ও নির্দলের জয়ী প্রার্থীর তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে
উল্লেখ্য, নওদা ব্লকের চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০টি আসনের মধ্যে ১১টি আসন কংগ্রেসের, ২টি আরএসপির এবং ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস এবং আরএসপির মোট ১৩ জন জয়ী প্রার্থী জোটের বোর্ড গঠন করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। ওই পঞ্চায়েতের ১১ জন জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী ফলাফলের পরের দিন থেকেই গা ঢাকা দেন।
তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। ভয়ে ওই গ্রামে ঢুকতে পারছেন না। ফলে আগামী ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠনের দিন তাঁদের উপরে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। সে কারণেই তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে ওই ঘটনার পরেও বহরমপুর শহরের একটি হোটেল থেকে অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।