দেরাদুন: শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেদারনাথে (Kedarnath) ধসে চার জন মৃত। ১২ জন নিখোঁজ। উত্তরাখন্ডের (Uttarakhand) ধসের জেরে কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। গৌরীকুণ্ডে (Gaurikund) মাঝ রাতে বৃষ্টির জেরে তিনটি দোকান বন্যায় ভেসে গিয়েছে। গৌরীকুণ্ড মূল মন্দির থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। মনে করা হচ্ছে যাঁরা নিখোঁজ তাঁরা হয় বন্যায় ভেসে গিয়েছেন। কিংবা ধসে চাপা পড়ে গিয়েছেন। রুদ্রপ্রয়াগের (Rudraprayag) জেলাশাসক সৌরভ গহরওয়ার বলেন, চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ তাঁদের জন্য তল্লাশি (Search) চলছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি (Pushkar Dhami) বিপর্যয় কন্ট্রোল রুমে (Disaster Control Room) গিয়ে পরিস্থিতির খোঁজ নেন। তদারকি করেন। জানা গিয়েছে, নিখোঁজদের (Missing) মধ্যে একটি নেপালি (Nepali) পরিবারও রয়েছে।
কেদারনাথের পথে ভয়াবহ ধসে বহু তীর্থযাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার রাতে অতি ভারী বর্ষণে গৌরীকুণ্ডের কাছে প্রবল ধস নামে। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় এই ভয়ঙ্কর ভূমিধসে বহু তীর্থযাত্রী কাদামাটি, পাথরের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে কেদারনাথ মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কেদারনাথ যাওয়ার পথে গৌরীকুণ্ডই বিশ্রামের প্রধান স্থান। দেবী পার্বতীর নামে জায়গাটির নাম গৌরীকুণ্ড। সেখানে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট। রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাহাড়ের বড় বড় পাথরের চাঁই।
আরও পড়ুন: এবিভিপি ও টিএমসিপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, জখম উভয়পক্ষের ৫
ধসের ফলে বহু দোকান তাসের ঘরের মতো ভেঙে খাদের অতলে চলে যায়। জলে ভেজা কাদামাটি ও পাথরের তলায় চাপা পড়ে যান অসংখ্য মানুষ। কেউ কেউ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, প্রায় জনা ১০-১২ লোক নিখোঁজ। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত ১২ জন ভূমিধসের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন অথবা মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছেন।