পুরুলিয়া: পুরুলিয়া পুরসভায় রয়েছে ২৩টি ওয়ার্ড। আর এই শহরে প্রায় ১ লক্ষ ৫০হাজার মানুষ বসবাস করেন। আগে এই শহরে চলত রিকশা। সেই রিকশা জন্য শহরের বিভিন্ন মোড়ে ছিল মোট ১০টি স্ট্যান্ড। পরবর্তীকালে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ২০১৬ শহরে আসে টোটো। আসতে আসতে কমতে থাকে রিকশা। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে টোটোর সংখ্যা। সেই সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার। জেলা পরিবহন দফতর থেকে এই টোটোর রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। তথ্য অনুযায়ী ১৯৪৭টি টোটোর রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে জেলা পরিবহণ দফতর। সেই রেজিস্ট্রেশনের উপর ১৭৩০ জনকে শহরে টোটো চালানোর অনুমতি দেয় পুরুলিয়া পুরসভা। অথচ এর দ্বিগুন অবৈধ টোটো চলাচল করে।
শহরে এত সংখ্যক টোটো চলাচল করে অথচ তাদের কোনও বৈধ স্ট্যান্ড নেই। জেলা পরিবহণ দফতরের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া অনুযায়ী, হলুদ বোর্ড লাগানো নম্বর প্লেটের টোটো শহরে চলাচল করবে। সবুজ নম্বর প্লেট লাগানো টোটোগুলি পুর এলাকার বাইরে চলাচল করবে। শহরের বাসিন্দাদের শহরে চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সবুজ নম্বর প্লেট লাগানো টোটো গুলিও শহরের মধ্যেই চলাচল করছে। পুর এলাকার মোট আয়তন ১৪বর্গ কিলোমিটার। মোট রাস্তার রয়েছে প্রায় ৪০কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: ব্যর্থতা কাটাতে এবার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে দায়িত্ব দিল আরসিবি
ফলে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা এই টোটোর জন্য মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন মোড়ে যানজট লেগেই থাকে। অভিযোগ, যেখানে ১০ মিনিটে পৌঁছনোর কথা, সেখানে সময় লেগে যাচ্ছে ৩০মিনিট। বিশেষ করে অফিস টাইমে। অফিস যাত্রী থেকে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্যায় পড়ে। কারও কোনও হেলদোল নেই। বাস স্ট্যান্ড থেকে রেল স্টেশন সকাল থেকেই দেখা যায় রাস্তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে সারি সারি টোটো। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুরসভার উদাসীনতায় আগেই হারিয়েছে ফুটপাত। যেখানে সেখানে ফুটপাত দখল করে গজিয়ে বসেছে দোকান। তেমনি প্রশাসনের উদাসীনতায় বেড়েই চলেছে অবৈধ টোটো। কোনও নজরদারি নেই। ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসি তার কোনও সদুত্তর নেই।