নয়াদিল্লি ও এলাহাবাদ: জ্ঞানবাপী মসজিদে পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট সবুজ সংকেত দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল মসজিদ কমিটি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার অনুমতি দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সমীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মসজিদ কমিটির আর্জি বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত জানিয়েছে, বারাণসী আদালত যে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল তা যুক্তিযুক্ত। বিচারের স্বার্থে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা জরুরি, রায়ে জানিয়েছে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত।
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের গা ঘেঁষে থাকা জ্ঞানবাপী মসজিদ মন্দিরের উপর গড়ে উঠেছে কিনা এই নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম পক্ষের মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই মামলায় এর আগে বারাণসী আদালত ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে সমীক্ষা করে এর ফয়সালা করার নির্দেশ দেয়। সেই রায়ের পরেই এএসআই সমীক্ষা শুরু করে সেদিনই। তখন মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি এলাহাবাদ হাইকোর্টে গিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর মসজিদ কমিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টে বারাণসী আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আর্জি জানায়। মসজিদ কমিটির বক্তব্য ছিল, প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা হলে স্থাপত্যের প্রভূত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদিই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন, লোকসভায় অমিত শাহ
সেই মতো এদিন এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, সুবিচারের লক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা জরুরি। একইসঙ্গে জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। তবে এএসআইকে সমীক্ষার বিষয়ে একটি হলফনামা দিতে হবে। সমীক্ষার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়নি আদালত। যে কোনও সময় সমীক্ষার কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা, আজ কিংবা কালই প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষার কাজ শুরু হতে পারে।
হিন্দুপক্ষের আবেদনকারী সীতা সাহু বলেন, এটা একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। কাঠামোর ক্ষতি না করেই এই পরীক্ষা করা সম্ভব। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য বলেন, আমি রায়কে স্বাগত জানাই। আমি মনে করি এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জ্ঞানবাপী মসজিদের সত্য সকলের সামনে আসবে। অন্যদিকে, মসজিদ কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের বিস্তারিত রায় হাতে এলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবে।