ঝাড়গ্রাম: ভারী বৃষ্টিতে জলের তলায় বড়ামারা কজওয়ে। যার ফলে প্রায় বেলিয়াবেড়া ও ঝাড়গ্রাম শহরের যাওয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বৃষ্টিতে ডুলুং নদীর জলস্তর বাড়ায় ডুবে যায় কজওয়ে। এর জেরে যাতাযাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন আশেপাশে গ্রামের স্থানীয় মানুষজন। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির জেরে ভেঙে গিয়েছে সুবর্ণরেখার উপর তিনটি ব্রিজ। ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের একাধিক গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন যায়। সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা
প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে (Heavy rains) একাধিক নদীর জলস্তর বাড়ায় ((Rise River water levels) শহর থেকে গ্রামের যোগযোগ বিচ্ছিন্ন। ঝাড়গ্রাম (Jhargram)জেলার রোহিনী কিংবা বেলিয়াবেড়া যাওয়ার এখন একমাত্র পথ এই বড়ামারা কজওয়ে। কিন্তু গত দুদিন ধরে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নদীতে জল বাড়ায় জলের তলায় গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের গোয়ালমারা এলাকার বড়ামারা কজওয়ে। যার ফলে প্রায় বেলিয়াবেড়া ও ঝাড়গ্রাম শহরের যাওয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ওই অঞ্চলের প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা এই সেতু। কিন্তু ডুলুং নদীতে জল বাড়ার কারণে এই কজওয়ের উপর দিয়ে জল যাওয়ার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাশে থাকা ভাঙা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল খুব আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে চলছে।
আরও পড়ুন: লাইব্রেরিতে নতুন নিয়োগ হবে বলে জানালেন দফতরের মন্ত্রী
গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া কিংবা সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী, রগড়া থেকে ঝাড়গ্রাম শহরে যাওয়ার জন্য এই সেতুর উপর দিয়েই পারাপার করতে হয়। সমস্ত জরুরী পরিষেবার জন্য ঝাড়গ্রাম শহরকে আসতে হয় সাধারণ মানুষকে। ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত তিন থেকে চার বছর আগে ওই রাস্তার উপরে একটা সেতু ছিল কিন্তু সেতুর একাংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে বিকল্প এই ডুলুং নদীর উপরে কজওয়ে বানানো হয়। কিন্তু এতেও বিপত্তি। একটু বৃষ্টি হলেই জল ওই বিকল্প কজওয়ের উপর দিয়ে পারাপার করে হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বহু গ্রামের। তবে স্থানীয়রা ভেঙে যাওয়া সেতুটি মেরামত করে পুনরায় ঠিক করে তোলার আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। কারণ প্রত্যেক বছরই বৃষ্টি হলেই ডুলুং নদীতে জল বাড়লে পারাপার বন্ধ হয়ে যায় কজওয়ের উপর দিয়ে।