নয়াদিল্লি: একজন শাসক, অপরজন বিরোধী। উভয়েরই লক্ষ্য এক। ঠেকাতে হবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজন টিকাকরণ। দু’জনেই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। কিন্তু ভ্য়াকসিনের প্রশ্নে দু’জনের রাজনীতি আলাদা আলাদা। একজন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় চরিত্রটি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন- কোভিডে অনাথ শিশুদের তথ্যে ‘গরমিল’, রাজ্যকে ‘সুপ্রিম’ ভর্ৎসনা
দিল্লি সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বাংলার হয়ে তাঁর দাবি ছিল একটাই ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিন। কেননা বাংলায় এখন টিকার আকাল। বহু জায়গায় থমকে রয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। আগামিকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মমতার। সেই অনুযায়ী যাবতীয় আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু বাধ সেধেছে করোনা। রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রবেশ করতে হলে প্রয়োজন আরটিপিসিআর রিপোর্ট। মমতা জানান যে তাঁর টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে বিষয়টি বিবেচনা করার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রুখতে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে টিকাকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেনি কেন্দ্র। বিজেপি শাসিত রাজ্যে তুলনায় অনেক বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মমতার আরও সংযোজন, “কোনও রাজ্যের বেশি ভ্যাকসিন তাতে আপত্তির কিছু নেই। আমাদের রাজ্যেও যাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছি।”
আরও পড়ুন- মুকুলের PAC চেয়ারম্যানের পদ বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা
রাজ্য সরকার বা তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার করে অভিযোগ করছেন যে বাংলায় অনেক কম ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র। পালটা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে এই রাজ্যে অনেক ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে। তৃণমূলের নেতানেত্রীরা ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজন পোষণ করছেন বলেও উঠেছে অভিযোগ। করোনার টিকাকরণ নিয়ে বাংলার বড় দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- আইপ্যাক সদস্যদের মুক্ত করতে আসরে রাজ্যের ২ মন্ত্রী
দিল্লিতে দাঁড়িয়ে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন প্রায় একই সময়ে টুইট করছেন দিলীপ ঘোষ। এ দিনই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিল্লিতে সংসদ ভবনে করোনার টিকা নিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। সেই টিকার শংসাপত্র ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছেন। তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে সকলকে টিকা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।’
Took second dose of #Covid19 vaccine at Parliament House, New Delhi.
Vaccination is mandatory to stop the third wave of covid 19. Hon’ble PM @narendramodi ji has ensured free vaccination for all. I urge all of you to get vaccinated to save the nation from the 3rd wave. pic.twitter.com/enBaHf6ixL
— Dilip Ghosh (Modi Ka Parivar) (@DilipGhoshBJP) July 27, 2021
দিলীপ ঘোষ সাংসদ বলেই তো দিল্লি গিয়ে টিকা পেলেন। কিন্তু দেশের সব সাধারণ মানুষ কি একেবারে নিখরচায় টিকা পাচ্ছেন? ভ্য়াকসিনের আকাল কি সত্য়িই বাংলায় নেই? প্রশ্ন থাকছেই।