নয়াদিল্লি: মণিপুর মামলার দ্বিতীয় দিনেও কেন্দ্রীয় এবং মণিপুরের রাজ্য সরকার (Manipur Govt) সু্প্রিম কোর্টের (Supreme Court) তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়ল মঙ্গলবার। মণিপুরের ডিজিকে আগামী সোমবার সশরীর হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং ধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনার তদন্তে এত দেরি কেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে ডিজিকে। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে কী ধরনের এবং কত এফআইআর করা হয়েছে, তারও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে ডিজিকে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সোমবার আমরা ভবিষ্যতেরল কর্মপন্থা স্থির করব।
গতকালও প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Supreme Court Chief Justice D Y Chandrachur) ডিভিশন বেঞ্চ কড়া ভাষায় ধমক দেয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে মণিপুর সরকার আদালতে যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়েছে, তাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাতে সরকার স্বীকার করেছে, মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলে কিছু ছিল না। সমস্ত সাংবিধানিক পরিকাঠামোই ভেঙে পড়েছিল। সরকারের এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট বিরোধীদের হাতে বড় অস্ত্র তুলে দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধীরা প্রথম থেকে এই কথাই বলে আসছে। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের অপদার্থতার জন্যই পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। মণিপুর সরকারের এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করার মতো জায়গায় নেই। তাদের সেই যোগ্যতাও নেই। রাজ্যে তো আইনশৃঙ্খলা বলে কোনও বস্তুই নেই। রাজ্যের পরিকাঠামো যদি নাগরিকদের রক্ষা করতে না পারে, তবে নিরাপত্তা চাইতে তাঁরা কার কাছে যাবেন।
আরও পড়ুন: সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ৮ অগাস্ট, চলবে তিনদিন
শীর্ষ আদালত বলেছে, একটা বিষয় খুব পরিষ্কার। সেটা হল, এফআইআর করতে অনাবশ্যক দেরি করা হয়েছে। গত ৪ মে এক মহিলাকে গাড়ি থেকে টেনে নামানো হয়েছিল। তাঁর সামনেই ছেলেকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ঘটনা ৪ মে-র। এফআইআর করা হয়েছে ৭ জুলাই। এই ঘটনা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। তাদের আরও পর্যবেক্ষণ, একটি দুটি ক্ষেত্র ছাড়া বেশির ভাগ এফআইআরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যায়নি।
মণিপুর সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, রাজ্যের সমস্ত পুলিশ স্টেশনে অফিসারদের মহিলা এবং শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।