গুরুগ্রাম: ধর্মীয় শোভাযাত্রায় (Communal Violence) হামলাকে ঘিরে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। আহত কমপক্ষে ৪৫। সোমবার হরিয়ানার (Haryanas) গুরুগ্রামের (Gurugram) নুহ-তে ধর্মীয় আয়োজন করা হয়েছিল। ধর্মীয় মিছিলে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হরিয়ানার নুহ। সোমবার গভীর রাতে ফের হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে হরিয়ানার গুরুগ্রামে। সেক্টর ৫৭-এ একটি ধর্মীয় স্থানে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বসে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৪৫ জন মিলে সেখানে চড়াও হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে ওই স্থানের আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় তচ মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ওই শোভাযাত্রার উপর চড়াও হয় একদল লোক। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বহু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধর্মস্থানেও হামলা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইট বৃষ্টি। হিংসার ঘটনায় দুই হোমগার্ড সহ অন্তত তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। পুলিশ লাঠি, গ্যাস চালিয়েও উন্মত্ত জনতাকে বাগে আনতে পারেনি। প্রথমে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় শূন্যে। পরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ধর্মীয় স্থানে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। প্রায় ৪৫ জন মিলে সেখানে চড়াও হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে ওই স্থানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।এই নিয়ে হরিয়ানা হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার সকালও সেই ওই ধর্মীয় স্থানে সামনে পুলিশ মেতায়োন করা ছিল। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যরাত এবং রাত ১টার মাঝখানে।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের দুর্ঘটনায় মৃত ১৬, প্রাণ হারালেন বাংলার ২ শ্রমিক
এই হিংসার প্রেক্ষিতে এক টুইটে খট্টর লেখেন, ‘সোমবারের ঘটনাটি দুঃখজনক। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। দোষীদের কোনও মূল্যেই ছাড় দেওয়া হবে না। দেষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংঘর্ষের জেরে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service Suspended)। মঙ্গলবার গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ জেলার স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নুহ থেকে হিংসা ছড়াচ্ছে গুরুগ্রামেও।