কলকাতা: বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে (Nandigram ) একটি পঞ্চায়েতের নবনিযুক্ত ১৫ জন বিজেপি সদস্যকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতারির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ওই সদস্যদের দাবি, এখনও পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ১৮ টি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি যাতে ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে না পারে, তার জন্যই ভুয়ো মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আদালতে রাজ্য সরকারের পাল্টা দাবি, ওই বিজেপির সদস্যদের মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতীও রয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে জিতেও ওই সদস্যরা বোর্ড গঠন করতে পারছেন না। নানা মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে। বুধবার এমনই অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের ওই পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপির সদস্যরা। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি সেনগুপ্ত রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চান , এঁরা কি সবাই জয়ী প্রার্থী ? উত্তরে ওই আইনজীবী বলেন, তাঁরা বিজেপি করেন বলে জানি, কিন্তু জয়ী সদস্য কি না বলতে পারব না। বিচারপতি বলেন, সেকি? বিজেপি করেন বলে জানেন, অথচজয়ী কি না জানেন না? এরপর বিচারপতি সোমবার পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতারীর উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
আরও পড়ুন: Madrasa | Scam | মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে জিতেও স্বস্তি নেই সদস্যদের। বহু পঞ্চায়েতে বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে শাসকদল। কোথাও কোথাও পুলিশ এবং প্রশাসনকেও এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হচ্ছে। যেন তেন প্রকারে পঞ্চায়েত দখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল। বিজেপির কেন্দ্রীয় তথ্যানুসন্ধানী দলের কাছেও অনেক জয়ী সদস্য এই ধরনের অভিযোগ জানিয়েছেন। রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ওই দল বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতেও এই বিষয় উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটের পরেও শাসকদল রাজ্যে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।