সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে দুজন মহিলাকে গণধর্ষণ করার পরে তাঁদেরকে সম্পূর্ন উলঙ্গ অবস্থায় রাস্তায় ঘোরানো হচ্ছে। মণিপুরের এই নরকীয় ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভ ফুসছে গোটা দেশ। প্রশ্ন উঠছে মণিপুরের প্রশাসনের উপরেও।মণিপুরের ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে মণিপুরের মেতেই সম্প্রদায়ের দিকে।ভারতের অগ্নিগর্ভ মণিপুরে দুজন কুকি মহিলাকে প্রকাশ্য রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানোর সাম্প্রতিক একটি ভিডিও সামনে আসার পর সারা দেশ শোকে-দু:খে-রাগে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। ওই দুজন নারীর অন্তত একজন গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে।প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পার্লামেন্টে, আর সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এই ‘চরম সাংবিধানিক ব্যর্থতা’র বিরুদ্ধে সরকার যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা নিজে থেকেই পদক্ষেপ নেবে। এই ঘটনায় এবার মুখ খুলল টলিউড।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বলিউড ও টলিউডের তারকারা তীব্র নিন্দা করেছেন এই ঘটনার। নির্যাতিতাদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে আসে সেই জন্যই নাকি মেতেই সম্প্রদায়ের লোকেরা এই ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ঘটনায় টলিউড অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী জানান, “মণিপুরের পুলিস প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের অপদার্থতা যে গণধর্ষণের নারকীয় ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার আগে অবধি কোনও অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। কেমন ধরণের প্রশাসন এটা? এই ধরনের অমানবিক কাজের শাস্তি এমন হওয়া উচিত যে পরেরবার এরকম কোনও ক্রাইম করার কথা ভাবলেও যেন শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডাস্রোত নেমে যায়। স্মৃতি ইরানির কাছে আবেদন, মণিপুরে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। ন্যায়বিচার দরকার।” ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় জানান, “কী খারাপ দিন ভারতীয় মহিলাদের কাছে! এই ধরনের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরবে, সবাই ফুঁসবে, মিডিয়া কথা তুলবে, প্রশাসন জেগে উঠবে। যদিও ঘটনাটা ৪ঠা মে-র।”
তৃণা সাহা জানান, “আমাদের দেশে তো সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন বা ফাঁসি। তবে যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।” জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “এঁদের ধরে ফাঁসি দেওয়া হোক।” গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর কথায়, “আমি সরকারের কাছে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাই। রাগের থেকেও এই ঘটনা বেশি শকিং।”