কলকাতা: শুক্রবার বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল ২ জনের, আহত প্রায় ১০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia ) বরাবাজার ব্লকের বনডি গ্রামে। মাঠে চলছিল ফুটবল খেলা । ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। পূর্বাভাস মতোই সেই সময় তুমুল বৃষ্টি নামে সঙ্গে শুরু হয় বজ্রঘাত। আর তাতেই গুরুতর জখম ১২ জন। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও মৃত্যু হয় দুজনের। শুধু পুরুলিয়াতে নয় বাজ পড়ে মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ( West Medinipur) ৩ জন, ময়নাগুড়িতে ২ জন। রাজ্য একদিনে বাজ পড়ে মোট ৬ জনরে মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা চলাকালীন বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি শুরু হতেই পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন মাঠে উপস্থিত ফুটবলারা। সেই সময়ে আচমকা ঐ বাড়িতে বাজ পড়ে। বজ্রপাতের আহত হয় বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া ১১ জন যুবক ও ১জন মহিলা। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধার করে পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই আহতদের ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতদের নাম সজল পরামানিক ও বেলনি মুর্মু। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবীন হেমব্রমও নামে এক যুবক বলেন, সেও ওই যুবকদের সঙ্গে মাঠে খেলছিল। তিনি বলেন, বৃষ্টি শুরু হতেই আমরা সবাই পাশে একটা বাড়িতে গিয়ে সবাই আশ্রয় নিয়েছিলাম। আচমকা বিকট শব্দ করে বাজ পড়ল। আমরা কয়েকজন পাশের ঘরে ছিলাম। অন্য ঘরে গিয়ে দেখি সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। সবাইকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমরা দলে ২০ জন ছিলাম। ১২ জন আহত হয়।
অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার ঝেঁপে বৃষ্টি নামে পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেই সময় জমির পাটক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন চার-পাঁচজন শ্রমিক। বৃষ্টি আসছে দেখে তারা এক তালগাছের নিচে আশ্রয় নেয়। তালগাছেই বাজ পড়ে। ঘটনায় মৃত্যু হল দুজনের। গুরুতর আহত আরও দুজন। তারা বর্তমানে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত দুজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে কেশপুরের কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোলসোরাপোতা গ্রামে।
জমিতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল কৃষকের। ঘটনায় ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির আমগুড়ির কন্যা বাড়ি এলাকায়। এদিন মাঠে কাজ করার সময় আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নীরেন্দ্রনাথবাবুকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।