কলকাতা: ২১ জুলাই সমাবেশে রাজ্যের প্রায় সব প্রান্ত থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ধর্মতলায় এসেছেন। এত মানুষের ভিড়ে শুধুই কালো মাথা ধর্মতলা জুড়ে। আর এই এত মানুষ যেখানে, সেখানে ফেরিওয়ালাদের ভিড় হবে না সেটা কি হতে পারে! চা, লজেন্স, টুপি, বই, গামছা কী নেই…
কিছু মানুষের সঙ্গে কথা হলো। তাঁরা আজ ধর্মতলায় এসেছেন বিক্রির আশায়। স্বভাবতই এতো মানুষের ভিড়ে যদি একটু বেশি বিক্রি হয় তাতে তো লাভই হবে। আমরা কথা বলেছিলাম শ্যামলের (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে। বহুদূর থেকে শ্যামল লজেন্স বিক্রি করতে এসেছেন। তাঁর কাছে রয়েছে ৬ রকমের লজেন্স। ১ টাকা থেকে শুরু করে ৩ টাকা পর্যন্ত। একসঙ্গে কেউ ৫টা বা ১০টা কিনলে বাড়তি লজেন্স। হিসাব বলছে প্রতিদিন যত লজেন্স বিক্রি হয়, তার থেকে খানিকটা বেশিই বিক্রি হয়েছে।
জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আজ যে বেশি বিক্রি আর লাভ হলো তাতে কী করবেন? বিশেষ কিছু করবেন? জানালেন, বিশেষ বলতে ছেলেটার জন্য আজ ভালো কিছু কিনে নিয়ে যাব। প্রতিদিন তো মোটামুটি একই খাবার খায়। তাই আজকে একটু লাভের মুখে দেখায় মাংস কিনে নিয়ে যাব। আগামিকাল শনিবার সবাই মিলে খাওয়া যাবে। বাবা হিসেবে ছেলের মুখে হাসি দেখব সেটাই বড় প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: মমতা, অভিষেক ছাড়াও বক্তা তালিকায় ১৫
সত্যি তো, বাবা হিসেবে সন্তানের মুখে হাসি দেখলে এর থেকে বড় পাওনা কী বা হতে পারে। তাই রাজনীতি রাজনীতির মতো চলবে। কিন্তু এই সমাবেশে যাঁরা দূর থেকে আসেন কিছু বিক্রির আশায়, তাঁদের কাছে এই সমাবেশ রাজনীতির উর্দ্ধে।
তাই ২১ জুলাই সমাবেশে রাজনীতি যেমন আছে, তেমনি আছে মানবিকতা। আর এই সমাবেশ মুখে হাসি ফোটানোরও তা বলতে দ্বিধা নেই।