নয়াদিল্লি: মোদি পদবি বিতর্কে গুজরাত হাইকোর্টের রায়ের উপর এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পেলেন না রাহুল গান্ধী। আগামী ৪ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং প্রশান্তকুমার মিশ্রর এজলাসে রাহুল গান্ধীর আর্জি শুনানির জন্য ওঠে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট মূল মামলাকারী বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি এবং গুজরাত সরকারকে নোটিস জারি করে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে ৪ অগাস্ট। অর্থাৎ চলতি বাদল অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা রাহুলের লোকসভায় ঢুকতে পারা প্রায় অনিশ্চিত। কারণ বাদল অধিবেশন চলবে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত।
এদিন শুনানিতে বিচারপতি গাভাই এই মামলা থেকে অব্যাহতি নেওয়ার প্রস্তাবও দেন রাহুল এবং মামলাকারীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ও মহেশ জেঠমালানির কাছে। তিনি বলেন, আমার বাবা কংগ্রেস সদস্য না হলেও দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমার ভাই এখনও সক্রিয়ভাবে কংগ্রেস করে। এই অবস্থায় আপনারা বলুন, এই মামলা আমার এজলাসে হওয়ার বিষয়ে আপনাদের আপত্তি আছে কিনা। যদিও দুই আইনজীবীই বিচারপতির জবাবে জানিয়ে দেন তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
আরও পড়ুন: Manipur Violence | মণিপুরে মূল অভিযুক্তের বাড়ি জ্বালিয়ে দিল জনতা
এদিনের সংক্ষিপ্ত শুনানিতে রাহুলের আইনজীবী সিংভি বলেন, আবেদনকারী ১১১ দিন ধরে উদ্বেগে রয়েছেন। একটি সংসদীয় অধিবেশনে তিনি যোগ দিতে পারেননি। আরেকটি অধিবেশনও হারাতে চলেছেন। তাঁর প্রাক্তন সংসদীয় কেন্দ্র ওয়েনাড়েও কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এই অবস্থায় রাহুলের লোকসভা সদস্যপদ খারিজের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার দাবি জানান সিংভি। তা সত্ত্বেও আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি।
গুজরাত হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা কেরলের ওয়েনাড়ের প্রাক্তন লোকসভা সদস্য রাহুল। প্রবীণ কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি রাহুল গান্ধীর হয়ে আর্জি দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টে।
উল্লেখ্য, সুরাতের আদালত রাহুলকে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় দোষী সাব্যস্ত এবং ২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। তারপরই আইন মোতাবেক রাহুলের লোকসভা সদস্যপদ খারিজ করা হয়। যে কারণে ২০ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা সংসদের বাদল অধিবেশনে থাকতে পারছেন না রাহুল গান্ধী। সে কারণে তড়িঘড়ি ফয়সালা করতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কংগ্রেস।
আবেদনে গান্ধী বলেছেন, যদি পূর্ববর্তী রায় স্থগিত না করা হয়, তাহলে স্বাধীন বাক, মতপ্রকাশ এবং চিন্তার অধিকারকে টুঁটি টিপে ধরা হবে। উল্লেখ্য, মোদি পদবি নিয়ে অবমাননার অভিযোগ আনা মূল মামলাকারী গুজরাতের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি হাইকোর্টের রায়ের পরপরই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছেন। ফলে আদালতে তাঁর বক্তব্য না শুনে একতরফা নির্দেশ দিতে পারবে না শীর্ষ আদালত।