কলকাতা: আজ ঐতিহাসিক ২১ জুলাই। সকাল থেকে ধর্মতলামুখী গোটা রাজ্য। তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে দূর-দূরান্ত, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মানুষ দলে দলে আসছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার জন্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার অন্ত নেই। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যেই ভিন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কী বার্তা দেন জননেত্রী তার জন্য মুখিয়ে রয়েছে গোটা দেশও।
বেঙ্গালুরুর মাটিতে বিজেপি বিরোধী জোট প্রতিষ্ঠার পর এদিন মমতার ভাষণে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক আসতে পারে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির উপর কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা, এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের মুখ স্তব্ধ করার চেষ্টা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সরকারকে তুলোধনা করতে পারেন মমতা। এছাড়াও মণিপুর প্রসঙ্গ নিয়ে মোদিকে গিলোটিনে চাপাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পডুন: Manipur-Supreme Court | মণিপুর নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
গতকালই মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা লেখেন, দুই মহিলাকে যেভাবে নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, সেই ভিডিও দেখে হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। দুই মহিলার উপর উন্মত্ত জনতার নির্মমতা দেখে মনে ক্রোধ জেগেছে। মমতা আরও লেখেন, মহিলার উপর যে প্রবল অত্যাচার করা হয়েছে, তা দেখে দুঃখপ্রকাশ করার করার কোনও ভাষা পাচ্ছি না। বর্বরোচিত এই কাজ সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে, যা মানবতার বোধগম্য নয়। এই অমানবিক অত্য়াচারের প্রতিবাদে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।
বুধবার একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে নৃশংস এক দৃশ্য। যেখানে গণধর্ষিতা দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটাচ্ছে একদল যুবক। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। এর বিরুদ্ধে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ মে মণিপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পরদিন এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু গতকাল, বুধবার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিরোধী দলগুলি মারমুখী হয়ে উঠেছে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে।