নয়াদিল্লি: লোকসভা অধিবেশনের আগে সোনিয়া গান্ধীর কাছে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভালো আছি জানিয়ে সোনিয়া মণিপুর নিয়ে আলোচনার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠক শেষে বিমান বিভ্রাটের জেরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। সেখানে বিমানের ভিতরেই সাময়িক অসুস্থ বোধ করেন সোনিয়া। সে ব্যাপারেই এদিন খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী। সোনিয়া তাঁকে জানান, তিনি সুস্থই আছেন।
সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথমদিনেই মণিপুর ইস্যুতে হই-হট্টগোলের জেরে সভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার অনেক আগে লোকসভায় স্বল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ হয় দুই নেতার। মোদির সঙ্গে দু-চার কথার ফাঁকেই তাঁর কাছে মণিপুর নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব রাখেন কংগ্রেস নেত্রী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এদিন জানান, মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে মোদির কাছে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। অধীর বলেন, লোকসভা বসার আগে প্রথামাফিক প্রধানমন্ত্রী তাবড় নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | HC | সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের রক্ষাকবচ আদালতের
বিরোধী বেঞ্চের দিকে এগিয়ে এসে মোদি সোনিয়ার সঙ্গে দু-চারটি কথা বলেন। তখনই নেত্রীকে তিনি কেমন আছেন বলে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। জবাবে সোনিয়া জানান, ভালো আছেন। তারপরই মোদিকে চমকে দিয়ে সোনিয়া বলেন, আমরা মণিপুর নিয়ে লোকসভায় আলোচনা চাই। অধীর বলেন, মোদি আশা করেননি যে সোনিয়া সৌজন্য সাক্ষাতেই এই দাবি রাখবেন। ফলে, তৎক্ষণাৎ চমক ভেঙে মোদি কংগ্রেস নেত্রীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আচ্ছা আমি দেখছি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বৃহস্পতিবার হিংসা ছড়ানোর পর প্রথমবারের জন্য মণিপুর শব্দটি মুখে এনে এই ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, মণিপুরের ঘটনা গোটা দেশের মাথা লজ্জায় হেঁট করে দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও এদিন জানিয়ে দেন, মণিপুর নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সরকারের তরফেও জবাব দেওয়া হবে। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে এদিন তোপ দাগেন মোদিকে। তিনি বলেন, আজ আমরা মণিপুর ইস্যুর উত্থাপন করেছি। আমি নিজেও নোটিস দিয়েছি। আমরা দেখতে চাই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান আমাদের আলোচনার সুযোগ দেন কিনা। প্রধানমন্ত্রী তো প্রথম থেকেই নীরব। খাড়্গে বলেন, আপনার ৩৮টি দলকে নিয়ে বৈঠক করার সময় আছে। কিন্তু, মণিপুরে যাওয়ার সময় নেই।