কলকাতা: এবার আদালতে অস্বস্তি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগের সত্যতা পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল আদালত। বলা হল, অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা থাকলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবে পুলিশ। যদিও আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলাটি ওঠে। মামলাকারীর আইনজীবীর ব্যাখ্যা, সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপাল ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে তাঁদের উপরে রাখার কোনও মানে হয় না।
বুধবারই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়। মামলাকারীর আবেদন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিক আদালত। জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়, আদালত রক্ষাকবচ দিয়েছে বলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না। তিনি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসেও প্ররোচনা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আবেদনকারীর দাবি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিক আদালত। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং পরেও বিরোধী নেতা নানা উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee | HC | সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের রক্ষাকবচ আদালতের
শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, এই মামলা জনস্বার্থের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দেয় আদালত। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো এফআইআর করে রাজ্য পুলিশ। ৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর করা হয়। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত রাজ্যের চ্যালেঞ্জ খারিজ হয়ে গিয়েছে।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, এই মামলার সঙ্গে বৃহত্তর জনস্বার্থ জড়িত কি না, তা দেখতে হবে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, আদালত নির্দেশ দিলে আমরা পদক্ষেপ করতে পারি। বুধবার বিচারপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, আজ যাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে, দশ বছর পর তিনি কোনও অপরাধ করলেও সেই রক্ষাকবচ বহাল থাকবে কি? বিচারপতি আরও প্রশ্ন তোলেন, সেই নির্দেশিকা অন্তঃসারশূন্য হলেও তা কেন বাতিল হবে না?