কলকাতা: অভিনেতাদের (Actor) ধর্মঘটের (Strike) জন্য কার্যত অচল হয়ে পড়েছে হলিউড (Hollywood)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যান ইন্ডাস্ট্রির ১ লাখ ৬০ হাজার অভিনেতা-অভিনেত্রী। শনিবারও প্ল্যাকার্ড হাতে অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স, ইউনিভার্সাল, প্যারামাউন্ট ও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অফিসসহ অন্য মিডিয়া কোম্পানির বাইরে জমায়েত হয়েছেন লাখ লাখ কলাকুশলী। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানের কাজ। পাশাপাশি, হলিউডের বিগ বাজেটের কিছু সিনেমার শুটিং বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্টরা। তালিকায় রয়েছে, ‘মিশন: ইম্পসিবল-৮’, ‘ডেডপুল-৩’ ও ‘ভেনম-৩’।
মূলত পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবিতে এই ধর্মঘটে নেমেছেন হলিউডের অভিনয় শিল্পী ও কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, বিগত ছয় দশকে এমন ধর্মঘট দেখেনি হলিউড। গত মে মাসে রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার ১১ হাজার সদস্য ধর্মঘটে নামেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় কয়েক দিন আগে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হলিউডের অভিনয়শিল্পীরা। তবে হলিউড স্টুডিওগুলোর সঙ্গে হলিউডের অভিনয়শিল্পীদের আলোচনা আশার আলো দেখিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন:Leopard Attack | ধারাবাহিকের শুটিং সেটে আচমকাই চিতাবাঘের হানা!
হলিউডের অভিনেত্রী সুজান স্যারান্ডন বলেন, নতুন ধরনের ব্যবসার জন্য পুরোনো এক চুক্তিতে আছি। যা বেশিরভাগ মানুষের কোনও উপকারে আসছে না। জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্যা স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের সদস্য হিসেবে আজ আন্দোলনে এসেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বেতন সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধানে আসা জরুরি। আরেক অভিনয়শিল্পী ক্যাসান্দ্রা পালাসিও বলেন, এআই এর বিরুদ্ধে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। এটা আমাদের জন্য অসম্মান। কত টাকা দেয়া হয় আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার জন্য? সবার ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য।