নয়াদিল্লি ও মুম্বই: আগামিকাল, সোমবার বেঙ্গালুরুতে বসতে চলেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলির মহাবৈঠক। মঙ্গলবার হবে মূল আলোচনা। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে উৎখাত করার কাজে জোটবদ্ধ হওয়ার এটা বিরোধীদের দ্বিতীয় প্রয়াস। সেই মহা সম্মেলনকে সাফল্য মণ্ডিত করতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরমেশ্বর ঘাড়ে দায়িত্ব বর্তেছে।
এদিকে, মহা মন্ত্রণার আগে আজ, রবিবার বিরোধীদের অন্যতম মুখ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন দল ভেঙে মহারাষ্ট্রের বিজেপি জোটে যাওয়া অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদের সঙ্গে দেখা করতে তাঁরা ওয়াই বি চ্যবন সেন্টারে যান। সেখানে তাঁরা তাঁদের জীবনের ধ্রবতারা প্রবীণ পাওয়ারের আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন বলে জানান গোষ্ঠীর এক নেতা প্রফুল প্যাটেল। কিন্তু শরদ পাওয়ার তাঁদের ডাকে কোনও সাড়া দেননি বলে জানান প্যাটেল।
আরও পড়ুন: Opposition Meet-Mamata | বেঙ্গালুরুতে সোনিয়ার নৈশভোজে যাবেন না মমতা, থাকবেন বিরোধীদের বৈঠকে
বেরিয়ে প্রফুল প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, উনি অফিসে আছেন শুনে ওনাকে না জানিয়েই আমরা আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম। পাওয়ারসাহেবকে বলেছি, এনসিপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চাই আমরা। উনি যেন আমাদের দিকনির্দেশ ও আশীর্বাদ করেন। তার কোনও জবাব উনি দেননি, কেবল শুনেছেন।
খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ শরদের অফিসে চলে আসেন তাঁর শিবিরের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাতিল এবং জিতেন্দ্র অওয়ধ। পাতিল সাংবাদিকদের সামনে বলেন, অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী শরদজির কাছে চলতি জটিলতা কাটানোর পথ বের করার আর্জি জানায়। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, শরদ পাওয়ার তাঁর অবস্থানে অটল রয়েছেন। তাঁদের দিকে ১৯ বিধায়কের সমর্থন রয়েছেন এবং অজিত পাওয়ার ইচ্ছে করলে ফিরে আসতে পারেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অজিত পাওয়ার নিজে এনসিপি প্রধানের সিলভার ওক বাসভবনে গিয়ে শরদ-জায়া প্রতিভা পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন। কাকিমা প্রতিভার খুবই স্নেহভাজন অজিত। তিনিও তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। প্রতিভার সম্প্রতি একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অজিত পাওয়ার যখন প্রথমবার বিজেপির দিকে ভিড়েছিলেন, তখন তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এই প্রতিভারও অবদান ছিল।