কলকাতা: বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন রথীন্দ্রনাথ বসু। রাজ্যসভার অষ্টম প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করেছিলেন। শনিবার রথীন্দ্রনাথ তা প্রত্যাহার করলেন। এর ফলে রাজ্যসভায় বাংলার সাত আসনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। ছয় আসনে তৃণমূলের এবং একটি আসনে বিজেপির প্রার্থী বিনা লড়াইয়ে জিতে গিয়েছেন। আগামী ১৭ জুলাই বিজয়ী প্রার্থীদের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সার্টিফিকেট তুলে দেবেন রিটার্নিং অফিসার। তবে তাঁরা কবে শপথ নেবেন, তা এদিন পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: BMW India | ভারতে লঞ্চ হচ্ছে BMW X5, দাম কত জেনেনিন
এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার পাঁচটি আসনে প্রার্থীদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। গোয়ার লুইজিনহো ফেলেরিও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করা হয়। পরে তিনি তৃণমূল ছাড়েন এবং রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে ওই আসনে ফের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তৃণমূলের যে পাঁচটি আসন খালি হচ্ছে, সেগুলিতে ছিলেন দোলা সেন, সুখেন্দু শেখর রায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, শান্তা ছেত্রী এবং সুস্মিতা দেব। এবার শান্তা এবং সুস্মিতাকে দল আর প্রার্থী করেনি। বাকি তিনজন ফের টিকিট পেলেন। ফেলেরিওর আসনে প্রার্থী করা হয় দিল্লির সাকেত গোখলেকে। শান্তা এবং সুস্মিতার জায়গায় তৃণমূল প্রার্থী করে সমিরুল ইসলাম এবং প্রকাশ চিক বরাইককে। সপ্তম আসনে বিজেপির প্রার্থী নগেন্দ্র রায়। তিনি উত্তরবঙ্গে অনন্ত মহারাজ বলে পরিচিত। অনন্ত পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। তাঁর মতো বিভাজনকামী ব্যক্তিকে বিজেপি রাজ্যসভার প্রার্থী করায় বিতর্ক দেখা দেয়।